রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আন্তর্জাতিক ৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪:০৬ অপরাহ্ন
শেয়ার

অর্থ সংকটে জাতিসংঘ, কমানো হচ্ছে ১৪ হাজার শান্তিরক্ষী


UN peace

গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে জাতিসংঘ। যার প্রভাব পড়ছে সংস্থাটির শান্তিরক্ষা কার্যক্রমেও। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ৯টি মিশন থেকে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ হাজার সেনা ও পুলিশ সদস্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈশ্বিক এই সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বার্তা সংস্থা রয়টার্স জাতিসংঘের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলছেন, বর্তমানে যতো সংখ্যক শান্তিরক্ষী বিশ্বজুড়ে দায়িত্ব পালন করছেন, এই সংখ্যা কমলে তা প্রায় এক-চতুর্থাংশে নেমে আসবে। শুধু তা-ই নয়, বিপুল সংখ্যক বেসামরিক কর্মীও চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস স্বীকার করেছেন, সংস্থাটি ৮০তম বর্ষে পদার্পণের সময় কঠিন অর্থনৈতিক চাপে রয়েছে। তাই কার্যক্রমে দক্ষতা বাড়ানো ও ব্যয় কমানোর নতুন পথ খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা তহবিলের সবচেয়ে বড় অবদানকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যা মোট বাজেটের প্রায় ২৬ শতাংশ বহন করে। এরপরেই রয়েছে চীন, যার অবদান প্রায় ২৪ শতাংশ। তবে বর্তমানে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের ২.৮ বিলিয়ন ডলারের বকেয়া থাকায় তহবিল সংকট আরও গভীর হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন অর্থবছর শুরু হওয়ার আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ১.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল। এর সঙ্গে আরও ১.৩ বিলিয়ন ডলার যোগ হয়েছে সম্প্রতি। যদিও দেশটি জানিয়েছে, তারা শিগগিরই ৬৮০ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করবে—তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি তাদের জাতিসংঘ মিশন।

প্রসঙ্গত, গত আগস্টে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২৪ ও ২০২৫ অর্থবছরের জন্য বরাদ্দকৃত ৮০০ মিলিয়ন ডলার শান্তিরক্ষা তহবিল বাতিল করেন। তার প্রশাসনের প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৬ সাল থেকে জাতিসংঘের সব শান্তিরক্ষা তহবিল সম্পূর্ণ বন্ধ করা হতে পারে, কারণ তাদের মতে মালি, লেবানন ও কঙ্গোর মিশনগুলো কার্যকরভাবে সফল হয়নি।

জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তের ফলে দক্ষিণ সুদান, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, লেবানন, কসোভো, সাইপ্রাস, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, পশ্চিম সাহারা, গোলান মালভূমি (ইসরাইল-সিরিয়া সীমান্ত) এবং আবিয়াই (সুদান-দক্ষিণ সুদান সীমান্ত) অঞ্চলের মিশনগুলো সরাসরি প্রভাবিত হবে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—এসব মিশনের বেশ কয়েকটিতে বর্তমানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরাও দায়িত্ব পালন করছেন।