রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

গাজায় যৌথ টাস্ক ফোর্সে যুক্তরাষ্ট্রের ২০০ সেনা, থাকবে না স্থল উপস্থিতি


Gaza-city

গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে একটি আন্তর্জাতিক যৌথ টাস্ক ফোর্সের অংশ হিসেবে ২০০ জন সেনা সদস্য মোতায়েন করবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই সেনারা গাজার মাটিতে অবস্থান করবে না—তারা টাস্ক ফোর্সের সহায়তা ও সমন্বয় কার্যক্রমে অংশ নেবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রশাসনের দুইজন সিনিয়র কর্মকর্তা। খবর রয়টার্স।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা জানান, এই ২০০ সেনা সদস্য একটি মূল আন্তর্জাতিক টাস্ক ফোর্সে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন, যেখানে মিশরের সশস্ত্র বাহিনী, কাতার, তুরস্ক এবং সম্ভাব্যভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন। যৌথ এই টাস্ক ফোর্সের লক্ষ্য—গাজায় যুদ্ধবিরতির পর শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, নিরাপত্তা সমন্বয় করা এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রমকে নির্বিঘ্ন রাখা।

এর আগে একই দিনে মিশরের লোহিত সাগর উপকূলীয় শহর শারম আল-শেখে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের টানা দুই বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করা হয়।

এ যুদ্ধবিরতি আসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি যে পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন, তার মধ্যে রয়েছে- সব ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে প্রায় ২,০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার।

পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে গাজায় হামাসকে বাদ দিয়ে নতুন প্রশাসনিক কাঠামো গঠন, ফিলিস্তিনি ও আরব-ইসলামী দেশগুলোর যৌথ বাহিনীর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং হামাসের নিরস্ত্রীকরণের কথা উল্লেখ রয়েছে। পাশাপাশি আরব ও ইসলামী দেশগুলোর অর্থায়নে গাজা পুনর্গঠন এবং সীমিত আকারে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণের বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমন্বিত এই প্রচেষ্টা গাজায় দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও পুনর্গঠনের পথ প্রশস্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যরা মূলত লজিস্টিক ও সমন্বয় কার্যক্রমে সহায়তা করবে—যা মাঠপর্যায়ে আরব ও আঞ্চলিক বাহিনীগুলোর কার্যক্রমকে আরও কার্যকর করে তুলবে।