
ছবি : রয়টার্স
ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে ইসরায়েলি সেনারা চুক্তি অনুযায়ী গাজার জনবহুল এলাকা থেকে সরে যাওয়া শুরু করে। এরপরই দলে দলে মানুষ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে।
গাজার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পর উপকূলবর্তী সড়কগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। অনেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছেন, কেউ কেউ ধ্বংসস্তূপে খুঁজছেন নিজেদের ভিটেমাটি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টা (স্থানীয় সময়) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে নির্ধারিত সীমান্তরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে হামাসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি।
এর আগে শুক্রবার সকালে ইসরায়েলি সরকার চুক্তিটি অনুমোদন দেয়। কয়েক ঘণ্টা আগে হামাসও জানায়, তারা চুক্তিতে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা ‘কান’ মিশরে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির প্রথম ধাপের একটি ফাঁস হওয়া কপি প্রকাশ করে, যেখানে উল্লেখ ছিল— ইসরায়েল অনুমোদন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধ ‘তাৎক্ষণিকভাবে শেষ হবে’।
চুক্তিতে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে গাজা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করবেন। ট্রাম্প সপ্তাহান্তে মিশর সফরে গিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন এবং পরদিন ইসরায়েল সফর করবেন বলে জানা গেছে।
হামাসের প্রধান আলোচক খালিল আল-হায়া বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেন যে, তাদের সংগঠনও যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছে। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীরা নিশ্চয়তা দিয়েছে— এই চুক্তি মানে হবে ‘যুদ্ধের অনির্দিষ্টকালের জন্য সমাপ্তি’।
তবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরও শুক্রবার সকালে গাজা সিটি ও খান ইউনুসে ইসরায়েলি বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ ও গুলির খবর পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি।




























