
লিওনেল মেসি ছিলেন না মাঠে- তবুও যেন তাঁর উপস্থিতি ছড়িয়ে ছিল পুরো স্টেডিয়ামজুড়ে। গ্যালারিতে বসে হাসিমুখে প্রিয় দলকে দেখেছেন তিনি, আর সেই অনুপ্রেরণায়ই আর্জেন্টিনা গড়েছে আরেকটি জয়ের গল্প। যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে শনিবার ভোরে ফিফা প্রীতি ম্যাচে ভেনেজুয়েলাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
আর্জেন্টিনা ম্যাচজুড়ে রাখে একচেটিয়া আধিপত্য- ৭৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে নেয় ১৭টি শট, যার মধ্যে ৯টি ছিল লক্ষ্যে। একমাত্র গোলটি আসে ৩১তম মিনিটে জিওভান্নি লো সেলসোর পা থেকে। লাওতারো মার্টিনেজের পাসে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
অন্যদিকে ভেনেজুয়েলা যেন ছিল ছায়ামাত্র। ৫টি শট নিলেও একটিও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি তারা। গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ছিলেন আগের মতোই দেয়ালসম দৃঢ়- এ নিয়ে জাতীয় দলের হয়ে ৫৬ ম্যাচে ৩৯তম ক্লিনশিট তুলে নিলেন তিনি।
গ্যালারিতে এদিন দেখা যায় আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে, পাশে ছিলেন স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো। গত ২৭ দিনে ইন্টার মায়ামির হয়ে টানা সাতটি ম্যাচ খেলার পর কোচ লিওনেল স্কালোনি তাঁকে পূর্ণ বিশ্রাম দিয়েছেন। বেঞ্চেও ছিলেন না তিনি। তবুও দল যেন খেলেছে তাঁর ছায়ায়।
ম্যাচে এক পর্যায়ে সুযোগ মিসের হতাশাও আসে। ৩০তম মিনিটে ভেনেজুয়েলার গ্লেইকার মেন্দোজার নিখুঁত ক্রস থেকে ফাঁকা পোস্ট পেয়ে যান আলেহান্দ্রো মারকুয়েস, কিন্তু তাঁর হেড বলটি চলে যায় গ্যালারির দিকে- হাসিমুখে সেই দৃশ্যই দেখেন মেসি।

পরের মিনিটেই যেন ভাগ্যের পালা বদল। আর্জেন্টিনার গোল আসে দলগত দারুণ সমন্বয়ে- মার্টিনেজের পাস, লো সেলসোর নিখুঁত ফিনিশ, আর বল ঠেকাতে ব্যর্থ ভেনেজুয়েলা গোলরক্ষক।
দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষে এটিই ছিল আর্জেন্টিনার প্রথম প্রীতি ম্যাচ, ফলে ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির প্রাথমিক মঞ্চ হিসেবেই দেখা হচ্ছে এই জয়কে।
ম্যাচ শেষে কোচ স্কালোনি বলেন, “মেসি বিশ্রামে থাকলেও দলকে অনুপ্রাণিত করে। আজ সেটাই প্রমাণিত হলো। তবে গোলের সামনে আমাদের আরও নির্ভুল হতে হবে।”
মেসি গ্যালারিতে বসেই যখন হাসিমুখে দলের জয় দেখেছেন, তখন সেটি যেন এক অঘোষিত বার্তা- মাঠে থাকুন বা গ্যালারিতে, বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হৃদস্পন্দন এখনো তাঁর সঙ্গেই তাল মেলায়।





























