
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলার সব আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা ২টার দিকে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক জুলফিকার উল্লাহ এই চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন কেন্দ্রীয় আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজশাহী মহানগরের তৎকালীন আমির আতাউর রহমানসহ মোট ১১৪ জনকে আসামি করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৯ জন মারা গেছেন এবং ১০৫ জন জীবিত আছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ২৫ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবু ইউসুফ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, “ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিরপরাধ মানুষকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল। আজ তারা খালাস পেয়ে ন্যায্য বিচার পেয়েছেন।”
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আলী আশরাফ মাসুম বলেন, “সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত সবাইকে খালাস দিয়েছেন। কমপক্ষে ৪০ জন আহত ভুক্তভোগী সাক্ষ্য দিলেও কেউ আসামিদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি।”
উল্লেখ্য, ফারুক হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে হল দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ইসলামী ছাত্রশিবির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ফারুক নিহত হন। পরদিন তার লাশ ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। ১৫ বছর পর আজ এ মামলার রায় ঘোষণা হলো।