রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক শিক্ষা ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭:১৫ অপরাহ্ন
শেয়ার

দাওরা হাদিস সনদধারীদের প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক পদে নিয়োগ দিতে ধর্ম উপদেষ্টার চিঠি


Religion-adv

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কওমি মাদরাসার দাওরা হাদিস সনদধারীদের ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে একটি ডিও লেটার (আধা-সরকারি পত্র) দিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

খালিদ হোসেন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবির বিষয়টি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে পর্যালোচনা করছে। এ দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম।

সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মতামত জানতে চাইলে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “এটা আমার মন্ত্রণালয়ের আওতায় নয়, এটা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে হেফাজতের নেতারা আপত্তি তোলার পর আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে বলেছি, বিষয়টি নিয়ে বসা দরকার। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, ধর্মীয় শিক্ষক নামে আগে কোনো আলাদা পদ ছিল না। সহকারী শিক্ষকরা বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ ও ধর্ম- সব বিষয়ই পড়াতেন।”

তিনি আরও জানান, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেছেন, ধর্ম শিক্ষার ক্লাস এরই মধ্যে বাড়ানো হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার ছয়- সাত মাসের মধ্যে তাকে একটি ডিও লেটার দিয়েছিলাম। সেখানে বলেছি, যেসব কওমি মাদরাসার ছাত্র দাওরা হাদিস সম্পন্ন করেছে- যেটিকে সরকার এমএ আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজের সমমান দিয়েছে- তাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিলে তারা ধর্ম ও বাংলা ভালোভাবে পড়াতে পারবে।”

খালিদ হোসেন আরও বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বর্তমানে হেফাজতের আপত্তি পর্যালোচনা করছে। ইসলামিক সংগঠনগুলোর দাবির বিষয়েও মন্ত্রণালয় ভাবছে। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল হবে কি না- এটা পুরোপুরি তাদের মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত।”