রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক শিক্ষা ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩:১৫ অপরাহ্ন
শেয়ার

চীনা ভাষা শিক্ষা বিষয়ক ৫ম ফোরাম: ডিজিটাল বুদ্ধিমত্তা ও স্থানীয়করণের সমন্বয়ে নতুন দিগন্ত


China language

চীনা ভাষা শিক্ষার বিকাশ ও আধুনিকায়ন নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো চীনা ভাষা শিক্ষা বিষয়ক ৫ম ফোরাম। দিনব্যাপী এই ফোরামের আয়োজন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে।

‘ডিজিটাল বুদ্ধিমত্তা ও স্থানীয়করণের সংমিশ্রণ – বাংলাদেশের চীনা ভাষা শিক্ষার উচ্চমানের উন্নয়নের পথ’—এই প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে সহ-আয়োজক হিসেবে ভূমিকা রাখেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, শান্ত-মারিয়াম হোংহে কনফুসিয়াস ক্লাসরুম, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট।

আজকের এই ফোরামেই আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ চায়নিজ ল্যাংগুয়েজ টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, যা বাংলাদেশে চীনা ভাষা শিক্ষার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের চীনা পরিচালক ড. ইয়াং হুই বলেন, আজ বাংলাদেশের চীনা ভাষা শিক্ষার বিকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করছে। এই সংগঠন আমাদের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতিফলন। এটি শিক্ষকদের মধ্যে সমন্বয় ও পেশাগত মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশে চীনা ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্র দ্রুত বিস্তৃত হচ্ছে। আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন ভাষার কোর্স চালুর পরিকল্পনা নিয়েছি, যেখানে চীনা ভাষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এজন্য আমরা কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, যা শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিনিময়ের মাধ্যমে আরও গভীর হয়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এখন সময়ের দাবি। এ ক্ষেত্রে কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটগুলো একটি কার্যকর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারে।

অনুষ্ঠানে আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে চীনা ভাষার প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে, যা দুই দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতিগত সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় চীনা ভাষা শিক্ষাকে আরও কার্যকর ও স্থানীয় প্রেক্ষাপটে উপযোগী করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

দিনব্যাপী আয়োজিত ফোরামে অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন সেমিনার ও আলোচনা পর্ব, যেখানে উপস্থিত ছিলেন চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধি, সরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, এবং বিভিন্ন কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।