
ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত
জেটব্লু এয়ারওয়েজের এক নারী যাত্রী বিমানের স্বাভাবিক এক ধরনের শব্দকে যান্ত্রিক ত্রুটি ভেবে জরুরি নির্গমন দরজা খোলার চেষ্টা করেছেন। ঘটনাটির ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী যাত্রী বিভ্রান্ত অবস্থায় অন্য যাত্রীদের সঙ্গে তর্ক করছেন, এরপর হঠাৎ করে জরুরি দরজার দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। এনডিটিভি বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারী যাত্রী বিমানের এক অদ্ভুত শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শব্দটি ছিল “বার্কিং ডগ নয়েজ” বা কুকুরের ঘেউ ঘেউয়ের মতো আওয়াজ। তিনি ভেবে বসেন, এটি কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির লক্ষণ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানান, এটি আসলে এয়ারবাস এ৩২০ সিরিজের বিমানের একদম স্বাভাবিক শব্দ। এই শব্দটি আসে বিমানের পাওয়ার ট্রান্সফার ইউনিট থেকে—একটি হাইড্রোলিক যন্ত্রাংশ, যা ইঞ্জিন চালু বা বন্ধের সময় চাপের ভারসাম্য বজায় রাখে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই নারী যাত্রী দাবি করেছেন যে তার সঙ্গী একজন পাইলট। তবে ঘটনাটির সময় তিনি নিজেই ভয় পেয়ে জরুরি দরজা খোলার চেষ্টা করেন। সৌভাগ্যবশত, বিমানটি তখনও মাটিতে ছিল এবং ক্রুরা দ্রুত ও শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফলে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়নি।
ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, ওই নারী সম্ভবত উড়োজাহাজ ভীতিতে ভুগছিলেন। অনেকে আবার ক্রুদের ধৈর্যশীল ও দক্ষ আচরণের প্রশংসা করেছেন।
একজন লিখেছেন, “দেখা যাচ্ছে, ক্রুরা বুঝেছিলেন এটা ভয়ের কারণে হচ্ছে এবং ধৈর্য ধরে তাকে বোঝাচ্ছিলেন।”
অন্য একজন মজার ছলে বলেন, “পরের বার পাইলট বয়ফ্রেন্ড নয়, বরং একজোড়া ইয়ারপ্লাগ নিক—কম ড্রামা, বেশি শান্তি!”
আরেকজন মন্তব্য করেন, “আমার এক বন্ধুরও উড়োজাহাজে ভয় ছিল। বহুবার প্রতিটি শব্দ ও ধাপ বুঝিয়ে বলার পরই সে একা ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে শুরু করে। তাই শান্তভাবে বোঝানোই সবচেয়ে কার্যকর।”




























