রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আন্তর্জাতিক ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

আগামী বছরের শুরুতে চীন সফরের ঘোষণা ট্রাম্পের


trump

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, বেইজিংয়ের আমন্ত্রণে তিনি আগামী বছরের প্রথম দিকে চীন সফরে যাবেন। সোমবার (২০ অক্টোবর) হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমাকে চীনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, এবং আমি আগামী বছরের শুরুর দিকেই সেখানে যাচ্ছি। বিষয়টি প্রায় নির্ধারিত।”

ট্রাম্প আরও জানান, তিনি চলতি মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, যেখানে দুই দেশের মধ্যে একটি “ন্যায্য” বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে।

গত সপ্তাহেও যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ আবারও তীব্র হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। চীন বিরল খনিজ রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিলে ট্রাম্প পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, তিনি চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছেন।

সম্পর্ক এতটাই তলানিতে নেমে গিয়েছিল যে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট অভিযোগ করেন—চীন “পুরো মুক্ত বিশ্বের সরবরাহ চেইন ও শিল্পভিত্তির ওপর বন্দুক তাক করে রেখেছে।”

তবে সোমবারের বক্তব্যে ট্রাম্প দুই দেশের সাম্প্রতিক উত্তেজনাকে পেছনে ফেলে বলেন, “আমরা একসঙ্গে উন্নতি করতে চাই। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের একসঙ্গে সমৃদ্ধ হওয়া জরুরি।”

তিনি আরও বলেন, চীন যেন যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিন ক্রয় পুনরায় শুরু করে—যা বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মধ্যপশ্চিমের কৃষকদের প্রধান বাজার হারাতে হয়েছে।

ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ওপর আস্থা প্রকাশ করেন, যা সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চীন ২০২৭ সালের মধ্যে তাইওয়ান দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমার মনে হয় চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালোই থাকবে। চীন এমনটা (তাইওয়ান দখল) করতে চায় না।” তিনি এ কথা বলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে বৈঠকের সময়।

যদিও ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, তাইওয়ানকে শি জিনপিং “চোখের মণি” মনে করেন, তবু তিনি মনে করেন চীন জানে—যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক শক্তি—তাই তারা এমন ঝুঁকি নেবে না।

“আমাদের সবকিছুতেই সেরা সামর্থ্য রয়েছে, আর কেউ সেটির সঙ্গে খেলতে চাইবে না,” বলেন ট্রাম্প।

এর আগে জুন মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের ‘শ্যাংরি-লা ডায়ালগ’ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ চীনকে “ এই অঞ্চলের জন্য হুমকি” বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।

এর জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, “যুক্তরাষ্ট্রের উচিত নয় আগুন নিয়ে খেলা।”