নারী বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের নাটকীয় পরাজয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান, হাতে ছিল ৪ উইকেট। ড্রেসিংরুমে উত্তেজনার ঢেউ, গ্যালারিতেও বুকধড়ফড় করা নিস্তব্ধতা। উইকেটে ছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও তরুণ রাবেয়া খান। সব হিসাবেই ম্যাচটা বাংলাদেশের হাতের মুঠোয় মনে হচ্ছিল।
কিন্তু ক্রিকেট তো অনিশ্চয়তার নাম। সেই অনিশ্চয়তাই পুরো নাটকীয়তা উজাড় করে দিল। বল হাতে এলেন লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু—চোখে আগুন, হাতে ঝড়। এক ওভারে টানা চার উইকেট! মুহূর্তে বদলে গেল খেলার চিত্রনাট্য।
শেষ ওভারের প্রথম বলেই লেগ বিফোরে ফেরেন রাবেয়া। পরের বলে রান আউট হন নাহিদা আক্তার। তৃতীয় বলে অধিনায়ক নিগার সুলতানা ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান, চতুর্থ বলে মারুফা এলবিডব্লিউ। শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল ৯ রান, বাংলাদেশ নিতে পারে মাত্র এক রান। ৭ রানের ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনালের আশা শেষ হয় বাংলাদেশের মেয়েদের।
এর আগে টস জিতে ৪৮.৪ ওভারে ২০২ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন পেরেরা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে স্বর্ণা আক্তার ছিলেন সেরা, ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন। রাবেয়া খানও ৩৯ রানে ২ উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। রুবাইয়া হায়দার শূন্য রানে ফেরেন, ফারজানা হক ৩৫ বলে ৭ রান করেন। চারে নেমে সুবহানা ১৩ বলে ৮ রান করে ফিরে গেলে ৪৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ চাপে পড়ে।
এরপর নিগার সুলতানা ও শারমিন আক্তার সুপ্তার ৬৪ রানের জুটি সাময়িক হাল ধরলেও সুপ্তার ইনজুরি ও পরে স্বর্ণা আক্তারের ১৯ রানের আউট বাংলাদেশের আশা শেষ করে দেয়। অধিনায়ক জ্যোতি লড়েছেন একাই, দলের সর্বোচ্চ ৭৭ রান তার ব্যাটে।
শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৫ রানে থামে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা জয়ী হয় ৭ রানে।
ফলাফল:
শ্রীলঙ্কা: ২০২ (৪৮.৪ ওভার)
বাংলাদেশ: ১৯৫/৯ (৫০ ওভার)
জয়ী: শ্রীলঙ্কা, ৭ রানে