রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক বিনোদন ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীদের ভূমিকা নিয়ে তথ্যচিত্র ‘আমাদ’স ড্রিম’


amads dream

২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান শুধু দেশের ভেতরেই নয়, প্রবাসেও আলোড়ন তুলেছিল। আন্দোলনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা বাংলাদেশিদের মধ্যে। কেউ সরাসরি দেশে ফিরে আন্দোলনে যোগ দেন, কেউ আবার বিদেশে থেকেই সাংগঠনিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহায়তার মাধ্যমে আন্দোলনকে আরও গতিশীল করে তোলেন। সেই প্রবাসী সংগ্রামীদের ভূমিকা নিয়েই নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য তথ্যচিত্র ‘আমাদ’স ড্রিম’ (Amad’s Dream)।

চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি ভিজ্যুয়াল স্টোরিটেলার আশিষ কিফায়েত। প্রবাসী নারীদের অংশগ্রহণ ও তাদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সংহতির চিত্র এতে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

তথ্যচিত্রটির মূল চরিত্র আমাদ মাহবুব, একজন বাংলাদেশি নারী যিনি মেহেদি ও কত্থক নৃত্যের শিল্পী। সামাজিক নিপীড়ন থেকে মুক্তি পেতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং সেখানে স্নায়ুবিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষা নেন। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রাম, সংস্কৃতির সঙ্গে আত্মিক সংযোগ এবং রাজনৈতিক সচেতনতার বিকাশই ‘আমাদ’স ড্রিম’-এর মূল সুর।

চলচ্চিত্রে দেখা যায়, আমাদ কিভাবে তাঁর মেহেদি শিল্পকে আন্দোলনের প্রতি সংহতির প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করেন। নকশা থেকে উপার্জিত অর্থ তিনি পাঠান বাংলাদেশের আন্দোলনকারীদের সহায়তায়—যা প্রবাসীদের একাত্মতা ও মানবিক দায়বদ্ধতার প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে।

‘আমাদ’স ড্রিম’ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সাড়া ফেলেছে। এটি জাম্বিয়া শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, অ্যান্টি-ওয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিপেন্ডেন্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, তুরস্কের আনাতোলিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং গোল্ডেন ব্রিজ ইস্তাম্বুল শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া চলচ্চিত্রটি ইস্ট ভিলেজ নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এবং এথেন্স ইন্টারন্যাশনাল আর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ পুরস্কৃত হয়েছে।

পরিচালক আশিষ কিফায়েত বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাস করছেন। তিনি অভিবাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও নাগরিক অধিকারভিত্তিক গল্প বলায় মনোনিবেশ করছেন। ২০২৫ সালে তিনি জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের করকরান স্কুল অব দ্য আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন থেকে নিউ মিডিয়া ফটোজার্নালিজমে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর কাজ প্রকাশিত হয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য টাইমস, ব্লুমবার্গ নিউজ, দ্য গার্ডিয়ান, এবং দ্য হিল–এ।