
ছবি: সংগৃহীত
২০২৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রাম (ভিডাব্লিউপি) আরও বিস্তৃত হয়েছে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে নির্বাচিত দেশের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য পর্যটন বা ব্যবসায়িক সফর করতে পারবেন।
বর্তমানে মোট ৪২টি দেশ এই সুবিধার আওতায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিটেন, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য যাত্রীর অবশ্যই ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) থাকতে হবে। এছাড়া অনলাইনে ESTA (Electronic System for Travel Authorization)-এর মাধ্যমে অনুমোদন নিতে হবে। একবার অনুমোদন পেলে এটি দুই বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। তবে একবারে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের বেশি অবস্থান করা যাবে না।
ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের আওতাভুক্ত দেশগুলো:
ইউরোপ: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইটালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মোনাকো, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, মাল্টা, সান মারিনো, ক্রোয়েশিয়া, রোমানিয়া।
এশিয়া-প্যাসিফিক: অস্ট্রেলিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই।
মধ্যপ্রাচ্য ও আমেরিকা: তাইওয়ান, ইসরায়েল, কাতার, চিলি।
ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামে আবেদন করতে গেলে কিছু শর্ত মানা জরুরি:
>> শুধুমাত্র অনুমোদিত দেশের নাগরিকরা আবেদন করতে পারবেন।
>> অপরাধমূলক রেকর্ড বা নিরাপত্তাজনিত নিষেধাজ্ঞা থাকলে আবেদন অযোগ্য।
>> ২০১১ সালের পর ইরান, ইরাক, সিরিয়া বা উত্তর কোরিয়ায় যাত্রা করলে আবেদন অযোগ্য।
>> পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিয়ম লঙ্ঘন করলে আবেদনযোগ্য নয়।
>> প্রোগ্রামের আওতায় কাজ, পড়াশোনা বা স্থায়ী বসবাস করা যাবে না; এর জন্য আলাদা ভিসা লাগবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রাম দ্রুত ও নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে চালু করা হয়েছে। এটি পর্যটন ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংযোগ বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।




























