
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্টার মায়ামির সঙ্গে নতুন চুক্তিতে সই করেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। তিন বছরের এই চুক্তিতে তিনি থাকবেন ২০২৮ সাল পর্যন্ত- অর্থাৎ ৪২তম জন্মদিনের ঠিক আগ পর্যন্ত মাঠে দেখা যাবে তাঁকে।
২১ অক্টোবর বিকেলে মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে নির্মাণাধীন ফ্রিডম পার্ক স্টেডিয়ামে ভিডিও ধারণের মাধ্যমে জানানো হয় মেসির নতুন চুক্তির খবর। ৩৮ বছর বয়সী মেসির ক্যারিয়ারে এটাই হতে পারে পেশাদার ফুটবলে শেষ চুক্তি।
ভিডিও শুটের সময় উপস্থিত ছিলেন ইন্টার মায়ামির সহমালিক ডেভিড বেকহাম এবং মেসি নিজে। চুক্তির কাগজপত্র পাঠানো হয়েছিল আগের রাতেই- এর মাধ্যমে নিশ্চিত হয়, মেসি ইন্টার মায়ামিতেই থাকছেন প্রত্যাশার চেয়েও বেশি সময়ের জন্য।
নতুন চুক্তির ফলে মেসির ক্লাবটিতে লঘু অংশীদারত্ব নেওয়ার পথ আরও সুগম হলো। ‘স্পোর্টিকো’র তথ্যমতে, ২০২৩ সালে মেসির যোগদানের আগে ইন্টার মায়ামির বাজারমূল্য ছিল ৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ফোর্বসের ২০২৪ সালের হিসাবে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ১২০ কোটি ডলারে। নতুন স্টেডিয়াম ও মেসির উপস্থিতি সেই মূল্য আরও বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অভিষেক ম্যাচেই দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে জয়সূচক গোল করেছিলেন মেসি। এরপর থেকে এমএলএসে তাঁর প্রভাব শুধু মাঠেই নয়, বাণিজ্যিকভাবেও অভূতপূর্ব। ইন্টার মায়ামির টিকিট বিক্রি, স্পনসরশিপ ও বাজারমূল্য- সব ক্ষেত্রেই তিনি বদলে দিয়েছেন ক্লাবের চিত্র।
মেসির নামে নতুন যুব ফুটবল টুর্নামেন্টের ঘোষণা এসেছে- “মেসি কাপ”। এতে অংশ নেবে মায়ামির অনূর্ধ্ব–১৬ দলসহ বার্সেলোনা, চেলসি, ম্যানসিটি, রিভার প্লেট, নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজসহ শীর্ষ ক্লাবগুলোর একাডেমি দল। টুর্নামেন্টটি হবে আগামী ডিসেম্বরে মায়ামির চেজ স্টেডিয়ামে।
চুক্তি ঘোষণার সময় মেসির স্ত্রী-সন্তানসহ পুরো পরিবার উপস্থিত ছিলেন। বেকহামও এনেছিলেন তাঁর বাবা-মাকে।
মায়ামির চার মালিক- হোর্হে ও জোসে মাস, বেকহাম এবং মেসি- নতুন স্টেডিয়ামের নির্মাণস্থল ঘুরে দেখেন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
মায়ামির সহমালিক হোর্হে মাস বলেন, “এটা শুধু অতীত উদ্যাপনের অধ্যায় নয়, বরং ভবিষ্যতের সূচনা। লিওনেলকে নিয়ে আমাদের সবচেয়ে সুন্দর দিনগুলো এখনো বাকি।”