
ফাইল ছবি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো হাউসের স্ট্রং ভল্টের তালা ভেঙে চারটি রিভলভার চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আগের ও বর্তমান ইনভেন্টরি মিলিয়ে চারটি অস্ত্র কম পাওয়া গেছে। এই রিভলভারগুলো র্যাবের ব্যবহারের জন্য আমদানি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিমানবন্দরের কার্গো হাউস–সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সূত্র জানায়, গত ২৮ অক্টোবর রাতে স্ট্রং ভল্টের তালা ভেঙে অস্ত্রগুলো চুরি হয়। পরদিনই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মো. জামাল হোসেন বিমানবন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ২ নভেম্বর।
ঘটনাস্থল থেকে তালা কাটার সরঞ্জাম ও আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক দল।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ২৪ অক্টোবর কাস্টমস, এনএসআই ও বিমান কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে ইনভেন্টরি শেষে ভল্ট সিলগালা করা হয়। কিন্তু ২৮ অক্টোবর সকালে দেখা যায় ভল্টের তালা নেই। তখন দেখা যায় ১৮টি অক্ষত রিভলভারের মধ্যে ৪টি নেই, বাকি ১৪টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি রিভলভার অক্ষত আছে।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, কার্গো ভল্টে সাধারণত মূল্যবান পণ্য, স্বর্ণ, হীরা, কাগজপত্র ও আগ্নেয়াস্ত্রের মতো উচ্চমূল্যের জিনিস রাখা হয় এবং তা একাধিক স্তরের নিরাপত্তায় সংরক্ষিত থাকে। তাই এই চুরিকে তারা একটি “সুপরিকল্পিত চক্রের কাজ” হিসেবে দেখছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এসএম মাইনুল ইসলাম বলেন, “সিসি ক্যামেরাগুলো পুড়ে যাওয়ায় ফুটেজ পাওয়া যায়নি। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
বিমানবন্দর থানার ওসি তাসলিমা আক্তার জানান, মন্ত্রণালয় আলাদা তদন্ত কমিটি করেছে, পাশাপাশি পুলিশও নিজস্বভাবে তদন্ত চালাচ্ছে।
কার্গো হাউসের দায়িত্বে থাকা বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (কার্গো) নাজমুল হুদা বলেন, “আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, তাই বিস্তারিত জানি না।”