
অভিনেত্রী তানজিন তিশা
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অনলাইনভিত্তিক ফ্যাশন হাউস অ্যাপোনিয়ার পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির এক্সিকিউটিভ মো. আমিনুল ইসলাম বুধবার (৫ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১৮ নম্বর কোর্টে মামলাটি করেন।
মামলায় দণ্ডবিধির ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বাদীপক্ষ অভিযোগ করেন, অ্যাপোনিয়ার পক্ষ থেকে ২৮ হাজার ৮০০ টাকার একটি শাড়ি প্রমোশনাল উদ্দেশ্যে তানজিন তিশাকে দেওয়া হয়। তবে তিনি শাড়িটি প্রচার না করেই রেখে দেন, পরবর্তীতে ফ্যাশন হাউসটির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং মূল্যও পরিশোধ করেননি।
এর আগে, গত ২২ অক্টোবর অ্যাপোনিয়া কর্তৃপক্ষ তানজিন তিশাকে আইনি নোটিশ পাঠায়। নোটিশে এক সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও উদ্যোক্তা ঝিনুকের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তিশা কোনো জবাব দেননি।
পরে, প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদীপক্ষ আদালতের কাছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ চায়। বিষয়টি আমলে নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত মামলাটি গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সলিমুল্লাহ সরকার বলেন, “তানজিন তিশার মতো জনপ্রিয় শিল্পীর কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশিত নয়। তিনি চাইলে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারতেন, কিন্তু উল্টো সামাজিক মাধ্যমে মানহানিকর পোস্ট দিয়ে উদ্যোক্তাকে হেয় করেছেন।”
অ্যাপোনিয়ার কর্ণধার ঝিনুক বলেন, “শিল্পী সমাজের প্রতিনিধি হয়ে এমন আচরণ দুঃখজনক। আমি ন্যায়বিচারের আশায় আইনের আশ্রয় নিয়েছি।”
অন্যদিকে, এ বিষয়ে তানজিন তিশার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে এর আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছিলেন, “শাড়িটি আমাকে উপহার দেওয়া হয়েছিল, এটি কোনো প্রমোশনাল চুক্তি ছিল না।”
এ ঘটনায় বিনোদন অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে বলছেন, বিষয়টি উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে, আবার কেউ কেউ এটিকে সেলিব্রেটি দায়িত্ববোধের ঘাটতি বলেও উল্লেখ করেছেন।