
ফাইল ছবি
প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিষয়টি বর্তমানে জাতীয় বেতন কমিশনে আলোচনাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।
তবে কাঙ্ক্ষিত গ্রেড বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা না পেয়ে আবারও আন্দোলনে নামছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। আগামীকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনগুলো।
তাদের মূল দাবি—১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান এবং শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “আমরা প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১০ম গ্রেড ঘোষণা করেছি এবং তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডের জন্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে, পে কমিশনে এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক। গত ২৪ এপ্রিল গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এক আদেশে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম থেকে ১২তম গ্রেডে উন্নীত করে।
তবে এতে অসন্তুষ্ট সহকারী শিক্ষকরা দাবি করছেন, প্রধান শিক্ষকের গ্রেড উন্নীত করায় বৈষম্য তৈরি হয়েছে। সেই বৈষম্য দূর করতে তারা ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।