
ফাইল ছবি
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি নভেম্বরের মধ্যে প্রাক্‑প্রস্তুতি শেষ করে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে প্রস্তাবিত গণভোট নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি নেয়নি ইসি। সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে সংস্থাটি। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একসঙ্গে হোক বা আগে, বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হবে।
ইসি সূত্র জানায়, ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ স্থাপন, নির্বাচনী সামগ্রী কেনা, কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ এবং রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন—এসব কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।
ইসি ইতিমধ্যে ৪২,৭৬১ ভোটকেন্দ্র ও ২,৪৪,৬৪৯ ভোটকক্ষ নির্ধারণ করেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও তারা বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ।
প্রথমবারের মতো এবার প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটাররা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। এর জন্য তাঁদের ইসির নির্দিষ্ট অ্যাপে নিবন্ধন করতে হবে, যা ১৮ নভেম্বর উদ্বোধন করা হবে।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, “আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সমস্ত প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। আমরা ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ নির্ধারণ, নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রশিক্ষণসহ সকল কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল এবং পর্যবেক্ষক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ভোটারদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয়, সেই জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
অন্যদিকে, ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছেন, “প্রস্তাবিত গণভোটের বিষয়ে এখনো সরকারের কাছ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা মেলেনি। তাই নির্বাচন কমিশন নিজ থেকে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সরকারের সিদ্ধান্ত এলেই আমরা তা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করব। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একসঙ্গে হোক বা আলাদা সময়ে, তার জন্য অতিরিক্ত ভোটকেন্দ্র, ব্যালট বাক্স এবং কর্মকর্তা নিয়োগের মতো প্রস্তুতি লাগবে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, ভোটারদের জন্য সব কিছু স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হবে।”
সব মিলিয়ে, ইসির মূল মনোযোগ এখন জাতীয় নির্বাচনে, তবে সরকারের সিদ্ধান্ত এলেই গণভোটের প্রস্তুতিও শুরু হবে।




























