
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নতুন মাশুল আদায় সংক্রান্ত গত ৩০ সেপ্টেম্বরের সিদ্ধান্ত এক মাসের জন্য স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। আজ রবিবার বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন। এ সময় আদালত রুলও জারি করেন।
এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত গেজেটে বন্দরের বিভিন্ন সেবায় গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়। সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয় কনটেইনার পরিবহনের মাশুল। পরে গত ৩০ সেপ্টেম্বর জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, ১৫ অক্টোবর থেকে নতুন মাশুল কার্যকর হবে।
গেজেট ও সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ মেরিটাইম ল সোসাইটি গত মাসে রিট আবেদন করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মহিউদ্দিন আবদুল কাদের। রাষ্ট্রপক্ষে হাজির ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে ১৪ সেপ্টেম্বরের গেজেট ও ৩০ সেপ্টেম্বরের সার্কুলার কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
আইনজীবী মহিউদ্দিন আবদুল কাদের বলেন, সার্কুলারের কার্যক্রম স্থগিত হওয়ায় এ মুহূর্তে বাড়তি মাশুল আদায় করা যাবে না।
অন্যদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী জানান, হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।