
বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরের অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয়েছে
চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেট এলাকার চশমা হিলে অবস্থিত সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল-এর বাসায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরের অভিযানে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনার সময় পুলিশ জানায়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে পোস্টে উল্লেখ করা হয় যে, নওফেলের বাসায় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা গোপনে বৈঠক করছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর অভিযান পরিচালনা করেছি। জুলাই যোদ্ধাদের দুজন প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে ছিলেন। পুরো ভবন তল্লাশি করে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তারা নিজেদের কর্মচারী দাবি করেছেন। যাচাই-বাছাই শেষে যদি কারও বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সংযোগ বা নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ওসি আরও জানান, নওফেলের ছয়তলা ভবনের চতুর্থ তলায় নিয়মিত রান্নার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তে জানা গেছে, নওফেলের ছোট ভাই বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন নগরীর পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় ক্যাফে মিলানো নামে একটি রেস্তোঁরার সহমালিক। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে রেস্তোঁরাটি বন্ধ থাকলেও অনলাইনে ফুডপান্ডা বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে খাবার বিক্রি অব্যাহত ছিল।
পুলিশের দাবি, চতুর্থ তলার রান্নাঘরেই অনলাইনে অর্ডার করা খাবার প্রস্তুত করে প্যাকেটজাত করা হতো এবং সেখান থেকেই সরবরাহ করা হত। বুধবার দুপুরে দুটি অর্ডার সম্পন্ন হওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
অভিযান শেষে পুলিশ বাসা থেকে অনলাইন পেমেন্টের দুটি কার্ড মেশিন ও কিছু খাদ্য সরঞ্জাম জব্দ করেছে। ওসি সোলাইমান জানান, জব্দ করা সামগ্রী ও আটক সাতজনকে নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে বাড়িটিতে নওফেল বা তাঁর পরিবারের কোনো সদস্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
চশমা হিলের এই বাড়িটি চট্টগ্রামের প্রয়াত মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পৈতৃক নিবাস হিসেবেও পরিচিত। তাঁর ছেলে নওফেল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও পরবর্তীতে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।



























