
ঘটনাস্থলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা
রাজশাহীতে এক বিচারকের বাসায় ঢুকে তাঁর ছেলেকে ছুরিকাঘাতে হত্যার হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের ডাবতলা এলাকায় এ হামলার শিকার হন রাজশাহী মহানগর ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন। এ ঘটনায় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “একজন যুবক বিচারকের স্ত্রীর ভাই পরিচয় দিয়ে বাসায় ঢোকে। পরে তিনি হামলা চালালে তাওসিফ নিহত হয় এবং বিচারকের স্ত্রী আহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীকে আটক করেছে।”
পুলিশ জানায়, আটক যুবকের নাম লিমন মিয়া, বাড়ি গাইবান্ধায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বিচারক আব্দুর রহমান সিলেটে দায়িত্ব পালনকালে লিমনের বিরুদ্ধে জালালাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।
হামলার সময় বিচারক আব্দুর রহমান বাসায় ছিলেন না। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীকে আটক করে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, “তাসমিন নাহারকে অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি করা হয়েছে। আহত হামলাকারীকেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে ঘটনার পর রামেকে ছুটে যান রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। আটক ব্যক্তির উদ্দেশ্য ও পূর্বপটভূমি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত তাওসিফ রহমান সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বিচারক আব্দুর রহমানের গ্রামের বাড়ি জামালপুরে হলেও তিনি পরিবার নিয়ে রাজশাহীর ডাবতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।




























