
বলিউড অভিনেত্রী হেমা মালিনী সম্প্রতি বলেছেন, দেব আনন্দের সঙ্গে ‘জনি মেরা নাম’ ছবির একটি জনপ্রিয় গানের শুটিংয়ে তাঁকে পড়তে হয়েছিল বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। তবু সেই ছবি হয়েছিল বছরের সুপারহিট। পাশাপাশি ছবিটির সঙ্গে ছিল তাঁর স্বামী ধর্মেন্দ্ররও এক আকর্ষণীয় যোগসূত্র।
১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ক্রাইম–থ্রিলার ‘জনি মেরা নাম’- যেখানে প্রথমবার জুটি বেঁধেছিলেন দেব আনন্দ ও হেমা মালিনী-হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে ব্লকবাস্টার হিসেবে স্থান করে নেয়। ছবিটির গান ‘পল ভর কে লিয়ে’ ও ‘ও মেরে রাজা’ আজও সঙ্গীত- অনুরাগীদের মন জয় করে।
দেব আনন্দের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে জয়পুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হেমা মালিনী জানান, ‘ও মেরে রাজা’ গানের শুটিংয়ের সময় তাঁর জন্য তৈরি হয়েছিল অস্বস্তিকর মুহূর্ত। শুটিং চলছিল বিহারের নালন্দার কাছে। দৃশ্য অনুযায়ী দু’জনকে বসতে হতো আকাশপথের রোপ–চেয়ারে।
হেমা মালিনীর ভাষায়, “দেব সাহেব আগে বসেছিলেন। আমাকে আরেকটি চেয়ারে বসার কথা ছিল, কিন্তু মিস করে ফেলায় তিনি আমাকে নিজের কোলে বসালেন। বাস্তব জীবনেও এটি আমার জন্য খুব বিব্রতকর ছিল, ছবিতেও আমি অত্যন্ত অস্বস্তি বোধ করছিলাম।”
হেমা আরও জানান, মাঝপথে রোপ–চেয়ারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাঁকে দেব আনন্দের কোলেই আটকে থাকতে হয়। তিনি বলেন, “চেয়ার মাঝখানে গিয়ে থেমে গেল। বিদ্যুৎ চলে গেছে। আমি বললাম, ‘দেব সাহেব, আমি এভাবে বসে থাকতে পারছি না।’ তাঁর ওজনের ওপর পুরোটা দিয়ে বসা আমার পক্ষে খুবই অস্বস্তিকর ছিল।”
বিব্রতকর সেই মুহূর্তের পরও ‘জনি মেরা নাম’ বছরটির সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় ছবি হয়ে ওঠে। পরে এই সিনেমাই অনুপ্রাণিত করে ধর্মেন্দ্র অভিনীত ‘জনি গদ্দার’ (২০০৭) ছবির নাম। ছবির এক দৃশ্যে নীল নিতিন মুকেশ হোটেলে চেক–ইন করতে গিয়ে রিসেপশনে চলতে থাকা ‘জনি মেরা নাম’ দেখে নিজের ভুয়া নাম ‘জনি’ বলে—সেখান থেকেই ছবির নাম ‘জনি গদ্দার’।
এদিকে ১৮ বছর পর আবারও পরিচালক শ্রীরাম রাঘবনের সঙ্গে কাজ করেছেন ধর্মেন্দ্র। তাঁদের নতুন ছবি ‘ইক্কিস’, যা ১৯৭১ সালের ইন্দো–পাক যুদ্ধের বীর শহীদ সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট অরুণ ক্ষেতরপালের জীবনভিত্তিক যুদ্ধ–নাটক। অগস্ত্য নন্দা অভিনয় করেছেন অরুণ ক্ষেতরপালের চরিত্রে এবং ধর্মেন্দ্র তাঁর বাবা ব্রিগেডিয়ার এম. এল. ক্ষেতরপালের ভূমিকায়। ‘ইক্কিস’ মুক্তি পাচ্ছে আগামী ২৫ ডিসেম্বর, বড়দিনে।
সূত্র: ডিএনএ ইন্ডিয়া