
মুশফিকুর রহিম। ছবি: সংগৃহীত
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটি যতটা না বাংলাদেশের, তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব বহন করছে মুশফিকুর রহিমের জন্য। কারণ এই সিরিজেই দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিনি খেলতে যাচ্ছেন নিজের শততম টেস্ট। আজ (বুধবার) মিরপুরে শুরু হওয়া দ্বিতীয় টেস্টই হতে যাচ্ছে মুশফিকের ক্যারিয়ারের বিশেষ এ মাইলফলক।
২০০৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১৮ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক হয় মুশফিকের। বিশ বছর পর ২০২৫ সালে এসে তিনি পা রাখছেন তিন অঙ্কের এই সম্মানজনক সংখ্যায়।
এর আগে সিলেটে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের ইনিংস ও ৪৭ রানের বড় জয়ে উড়ে গেছে আইরিশরা। ব্যাট-বলে দাপটে আলো ছড়িয়েছে স্বাগতিকরা। নাজমুল হোসেন শান্তর ১০০ রানের ইনিংস, মাহমুদুল হাসান জয়ের ম্যাচসেরা ১৭১ রান এবং সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি মিস করা (৮০ ও ৮২) ইনিংস দলকে শক্ত ভিত দিয়েছে।
তবে ৯৯তম টেস্টে মুশফিক ব্যাট হাতে খুব বেশি জ্বলে উঠতে পারেননি। ইনিংস ব্যবধানে জয় হওয়ায় এক ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পান তিনি, যেখানে করেন মাত্র ২৩ রান। তবে আজকের শততম টেস্টে ব্যাট হাতে বিশেষ কিছু করবেন—এমন প্রত্যাশা ক্রিকেটভক্তদের।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজন করেছে বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠান। টসের পর টেস্ট শুরুর আগে সকাল সোয়া ৯টা থেকে ৯টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে মুশফিকের সম্মানে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান। সেখানে তাকে দেওয়া হবে প্রতীকী প্রথম টেস্ট ক্যাপ, যা তুলে দেবেন তার অভিষেক টেস্টের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। টেস্ট ক্যাপের বিশেষ কাসকেটটি তুলে দেবেন সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান।
সকাল ৯টা ২০ মিনিটে বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম তাকে হস্তান্তর করবেন বিশেষ ক্রেস্ট।
লাল বলের ক্রিকেটে সংগ্রাম করে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য মুশফিকের শততম টেস্ট একটি অনন্য অর্জন। ২০১১ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৩৪ টেস্টে, যেখানে রয়েছে ৭টি জয়—অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং বাংলাদেশের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কার মতো দলকে হারানোর কৃতিত্বও তার। এবার আশা করা হচ্ছে, নিজের শততম টেস্টেও তিনি দলকে এনে দেবেন জয়ের আনন্দ।