
ফাইল ছবি
রাজধানী ঢাকায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় পরপর দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে- একটির উৎপত্তি ঢাকার বাড্ডায়, আরেকটির উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৭। মাত্র এক সেকেন্ড পর, অর্থাৎ ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে, দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি হয়, এর মাত্রা ৪ দশমিক ৩।
প্রাথমিকভাবে দুটির উৎপত্তিস্থলই বাড্ডা বলে জানানো হলেও পরে তথ্য সংশোধন করে তিনি স্পষ্ট করেন- ৩.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঢাকার বাড্ডায় এবং ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তি নরসিংদীতে।
এর আগে একই দিন সকাল ১০টা ৩৬ মিনিট ১২ সেকেন্ডে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় আরেকটি মৃদু ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৩ দশমিক ৩।
এরই মধ্যে দেশজুড়ে ভূমিকম্প আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে গতকাল শুক্রবার সকালের শক্তিশালী কম্পন, যা রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অনুভূত হয়। এতে শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু এবং ছয় শতাধিক মানুষের আহত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।
নিহতদের মধ্যে নরসিংদীতে পাঁচজন, ঢাকায় চারজন এবং নারায়ণগঞ্জে একজন রয়েছেন। শক্তিশালী ভূকম্পনের মুহূর্তে আতঙ্কে অনেক মানুষ ভবন থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে আহত হন। বিভিন্ন এলাকায় ভবন হেলে পড়া ও ফাটলের ঘটনাও নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভূমিকম্প বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় ধরনের কম্পনের পর পরাঘাত হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা, এবং এসব আফটারশক আরও কয়েক দিন অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।