
ফাইল ছবি
ব্রেইন টিউমারের সঙ্গে লড়াই করছেন একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের প্রবক্তা ইলিয়াস কাঞ্চন। দীর্ঘ সাত মাস ধরে তিনি অসুস্থ। গত ছয় মাস ধরে তার চিকিৎসা চলছে লন্ডনে। সেখানে একমাত্র মেয়ে ইসরাত জাহানের বাসায় থেকেই চিকিৎসা ও বিশ্রামে আছেন এই বরেণ্য অভিনেতা।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে ইলিয়াস কাঞ্চনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার হালনাগাদ জানান নিসচা আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভাইস চেয়ারম্যান লিটন এরশাদ। তিনি জানান, আগের চেয়ে ইলিয়াস কাঞ্চন এখন অনেকটাই সুস্থ ও স্বাভাবিক।
তার ভাষায়, “তিনি এখন পুরোপুরি কথা বলতে পারেন। আগে কথা বলায় সমস্যা হচ্ছিল, সেটা কেটে গেছে। টিউমারের অনেকটা অংশ ইতিমধ্যে সফলভাবে অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। বাকি অংশ রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপির মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও জানান, ইলিয়াস কাঞ্চনের চলমান মেডিসিন কোর্স এখনো চলছে। এই কোর্স শেষ হলে চিকিৎসকরা নতুন করে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। এরপরই পরবর্তী চিকিৎসা–পরিকল্পনা ঠিক করা হবে।
দেশে ফেরা প্রসঙ্গে লিটন এরশাদ বলেন, “নতুন পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলেই বোঝা যাবে চিকিৎসার ফলাফল এবং তার দেহের সামগ্রিক অবস্থা। এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তিনি দেশে ফিরতে পারবেন কি না।”
এর আগে, দীর্ঘ তিন মাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত ৫ আগস্ট লন্ডনের উইলিংটন হাসপাতালে প্রফেসর ডিমিট্রিয়াসের নেতৃত্বে ইলিয়াস কাঞ্চনের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। সেই জটিল অপারেশনের পর ধীরে ধীরে শারীরিক উন্নতি হলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে এখনও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইলিয়াস কাঞ্চন শুধু চলচ্চিত্রের সুপারস্টারই নন; দেশের সড়ক–নিরাপত্তা আন্দোলনেরও অন্যতম পথিকৃৎ। তার সুস্থতা নিয়ে ভক্ত–অনুরাগী ও দেশের সাধারণ মানুষের আগ্রহও ব্যাপক। পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের দোয়া ও শুভকামনা কামনা করা হয়েছে।





























