
ফাইল ছবি
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। হিমালয় থেকে নেমে আসা শীতল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে চারদিক ঢেকে গেছে সাদা আস্তরণে। ভোরের পথে বইছে হিমেল হাওয়া, মাঠেঘাটে জমছে শিশির—সব মিলিয়ে শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে উত্তরাঞ্চলে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে যদিও কুয়াশা তুলনামূলক কম ছিল, তবে ভোরের ঠান্ডা বাতাসে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে আসে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঠান্ডা বেশ অনুভূত হলেও সূর্য উঠতেই আবহাওয়া কিছুটা স্বস্তিদায়ক হয়ে ওঠে।
এর আগের দিন বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দেয়।
শীত বাড়ার সাথে সাথে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপও বেড়েছে। সদর হাসপাতালে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশু, বৃদ্ধ ও বিভিন্ন বয়সের রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, শীতের তীব্রতা দ্রুত বাড়ছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তাপমাত্রা আরও কয়েক ডিগ্রি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহও বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উত্তরের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে তাই এখন শীতের প্রভাব স্পষ্ট—হিমেল বাতাসে জমে থাকা অতিরিক্ত আর্দ্রতা ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত মানুষকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে।