
ফাইল ছবি
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। প্রতিটি মামলায় তাকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।
এছাড়া শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং রাজউক-এর সাবেক সদস্য খুরশিদ আলমকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সজীব ওয়াজেদ জয়কে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে।
আদালত তার পর্যবেক্ষনে বলেছেন, শেখ হাসিনাকে প্লট দেওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। এক্ষত্রে কোনো নিয়ম মানা হয়নি। তার হলফনামা ছিল জাল, কোন নোটারি ছিলনা।
প্লট দুর্নীতির আলদা তিন মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৭ জন। তবে ব্যক্তি হিসাবে এই সংখ্যা ২৩। শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছাড়া অন্য ২০ আসামি হলেন সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, রাজউকের সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) নায়েব আলী শরীফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-৩) মো. কামরুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপপরিচালক হাবিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব মোহাম্মাদ সালাউদ্দিন।
আসামিদের মধ্যে একমাত্র রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম কারাগারে আছেন।
রাজধানীতে জমি থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করে রাজউকের ৩০ কাঠা প্লট নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও তার ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এতে ৯১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। আসামিদের আদালতে উপস্থিত হতে সমন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও অনুপস্থিত থাকেন তারা। ফলে পলাতক অবস্থায়ই শেখ হাসিনাসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে চলে বিচারকাজ।