
ফাইল ছবি
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ- সংক্রান্ত তিন মামলার রায় ঘোষণার আগে বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন পর্যবেক্ষণে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পদের প্রতি ‘লোভ’ বিস্ময়কর। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “চারবারের প্রধানমন্ত্রী হয়েও তাঁর এত সম্পদের প্রয়োজন কেন?”
বিচারক জানান, গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অভিযোগ ছিল- রাজউকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে শেখ হাসিনা নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে কূটনৈতিক জোনে ৬০ কাঠা জমির ছয়টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছিলেন। রায় দেওয়ার সময় বিচারক বিষয়টিকে “জাতির জন্য বড় ধাক্কা” বলে মন্তব্য করেন।
পর্যবেক্ষণে তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা তাঁর স্বামী ওয়াজেদ মিয়ার ১৯৭২ সালে বরাদ্দ পাওয়া একটি প্লটের তথ্য গোপন করেছেন। প্লট বরাদ্দের জন্য জমা দেওয়া তাঁর দুই এফিডেভিটে নোটারি বা ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর না থাকায় সেগুলোর কোনো আইনগত মূল্য নেই।
বিচারকের মন্তব্য- একজন সাধারণ মানুষ এই প্লট বরাদ্দ পেতে পারতেন, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা জনগণের সম্পদ থেকে নিজেকে ফেরাতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, রাজউকও এ ঘটনায় নিয়মভঙ্গ ও বিশ্বাসঘাতকতার ভূমিকা পালন করেছে।
দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্নীতি প্রসঙ্গে বিচারক বলেন, হুইসেল-ব্লোয়িং ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে, যাতে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ অনিয়ম কর্মচারীরা নিরাপদে প্রকাশ করতে পারেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা ২০২২ সালের ৩ আগস্ট নিজের প্লট পাওয়ার পরপরই ছেলে, মেয়ে, বোন ও বোনের সন্তানদের জন্য প্লট বরাদ্দের সুপারিশ করেন। বিচারকের প্রশ্ন- “রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে আমরা আসলে কী আশা করি?”



























