
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, সমস্ত তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করবেন। পাশাপাশি, এখনো নাগরিকত্ব না পাওয়া অভিবাসীদের জন্য ফেডারেল সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধের কথাও বলেছেন তিনি।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই স্থগিতাদেশ কোন প্রক্রিয়ায় কার্যকর হবে- তা তিনি পরিষ্কার করেননি। অতীতে তাঁর নেওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলোর বেশিরভাগই আদালত ও কংগ্রেসে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিল।
বুধবার হোয়াইট হাউসের পাশে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলির ঘটনার পরদিনই ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। ঘটনায় এক আফগান নাগরিক আটক হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ট্রাম্প তাঁর পোস্টে কোন দেশগুলোকে তৃতীয় বিশ্ব হিসেবে দেখছেন তা উল্লেখ করেননি। সাধারণভাবে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ও উচ্চ দারিদ্র্যের হার থাকা দেশগুলোকে এ শ্রেণিতে ধরা হয়।
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ অনুযায়ী- দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চাদ ও নাইজার মানব উন্নয়ন সূচকে নিচের অবস্থানে রয়েছে। ইউএনডিপি ২০২৫ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০তম।
২০২১ সালে বিশেষ সুবিধায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া আফগান নাগরিকদের অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে স্থগিত রয়েছে। ট্রাম্প বৃহস্পতিবার আরও বলেন, “যারা দেশের জন্য কল্যাণকর নয় তাদের বের করে দেওয়া হবে।”
বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ১৯ দেশের নাগরিকদের গ্রিন কার্ড পুনরায় পর্যালোচনা করবে। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবার প্রধান জোসেফ এডলো জানান, উদ্বেগজনক দেশ থেকে আসা বিদেশিদের গ্রিন কার্ড কঠোরভাবে যাচাই করতে প্রেসিডেন্ট নির্দেশ দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের জুন মাসের ঘোষণায় যে দেশগুলোর নাম ছিল:আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, ইরান, সোমালিয়া ও ভেনেজুয়েলা।
এগুলোর পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশ এই ১৯ দেশের তালিকায় থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।