
ছবি: সংগৃহীত
ফুটবল ম্যাচে এক–দুইটি লাল কার্ড স্বাভাবিক; পাঁচটি হলেও মানা যায়। কিন্তু এক ম্যাচে রেফারিকে যদি ১৭টি লাল কার্ড প্রদর্শন করতে হয়—তাহলে সেটি আর খেলার পরিবেশ থাকে না, পুরোপুরি রণক্ষেত্রে রূপ নেয়! ঠিক এমনই নাটকীয় ঘটনা ঘটেছে বলিভিয়ার ঘরোয়া ফুটবলে, যেখানে পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় যে পুলিশকে মাঠে নেমে টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করতে হয়েছে।
কোপা বলিভিয়ার নক-আউট পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল ব্লুমিং এবং রিয়াল ওরুরো। প্রথম লেগে ২–১ ব্যবধানে জিতেছিল ব্লুমিং। দ্বিতীয় লেগ ২–২ ড্র হওয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেই যায় দলটি। কিন্তু শেষ বাঁশির পর বিজয়ের উদযাপন দূরে থাক, দুই দলের খেলোয়াড় ও স্টাফদের ভয়াবহ সংঘর্ষে মাঠ পরিণত হয় বিশৃঙ্খলার কেন্দ্রে। মুহূর্তেই সেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
বলিভিয়ার গণমাধ্যম এল পোতোসি জানিয়েছে, সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে ওরুরোর সেবাস্তিয়ান জেবায়োসকে কেন্দ্র করে। প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা তাকে শান্ত করার চেষ্টা করলেও হঠাৎ করেই তিনি ছুটে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। ঠিক তখনই হুলিও ভিয়াও ঘুষি চালাতে শুরু করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
ওরুরো দলের কোচ মার্সেলো রবলেদোও উত্তেজনার মধ্যে জড়িয়ে পড়েন। জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের একজনের সঙ্গে তুমুল বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান তিনি। মাথা ও কাঁধে চোট পেয়ে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মাঠে উত্তেজনা এতটাই বেড়ে যায় যে প্রায় ২০ জন পুলিশ সদস্য ছুটে আসেন পরিস্থিতি সামাল দিতে। সবকিছু থামাতে শেষ পর্যন্ত টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করতে বাধ্য হয় পুলিশ। সহিংসতা আরও না বাড়তে দিতে ব্লুমিং কোচ মৌরিসিও সোরিয়া তার খেলোয়াড়দের দ্রুত ড্রেসিংরুমে পাঠিয়ে দেন।
মাঠে ঘটে যাওয়া বিশৃঙ্খলার কারণে অন্তত ছয় ফুটবলারকে পুরো টুর্নামেন্ট থেকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গ্যাব্রিয়েল ভালভার্দে, রিচেট গোমেজ, ফ্রাঙ্কো পসে, রবার্তো মেলগার, সিজার রোমেরো ও লুইস সুয়ারেজকে সহিংস আচরণের দায়ে লাল কার্ড দেখান রেফারি।