
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া/ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এখনই বিদেশে নেওয়া হচ্ছে না। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ও মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করবে ভবিষ্যতে বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি। আপাতত রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা চলবে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। গেলো তিনদিন একই রকম আছে। তাঁর শরীর চিকিৎসা গ্রহণ করছে।
৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া সপ্তাহখানেক ধরে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতাসহ নানা রোগে ভুগছেন তিনি। চিকিৎসকদের মতে, তাঁর হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে এবং গত দুদিন ধরে তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন।
ডা. জাহিদ জানান, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেয় যে তাঁকে আরও নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। সেই অনুযায়ী ২৭ নভেম্বর সকালে তাঁকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। তাঁর সার্বিক চিকিৎসা কার্যক্রম তদারকি করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালেই চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় তিনি হাসপাতাল এলাকায় ভিড় না করার অনুরোধ জানান- কারণ এতে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিদেশে নেওয়ার প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ বলেন, “এ বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও মেডিকেল বোর্ডের বিবেচনার ওপর নির্ভর করছে। বোর্ড এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানানো হবে।”