
সংগৃহীত ফাইল ছবি
দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বৃহত্তম প্রদর্শনী ১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা শুরু হচ্ছে আগামী ৭ ডিসেম্বর। চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিতব্য এ আয়োজনের সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
বিভিন্ন খাতের ৮৫০ জন উদ্যোক্তা মেলায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন। যাচাই-বাছাই শেষে নির্বাচিত উদ্যোক্তাদের তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত মেলাকে ঘিরে চলমান প্রস্তুতি নিয়ে সম্প্রতি এসএমই চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়—অন্যান্যবারের মতো এবারও ৫টি ক্যাটাগরিতে প্রদান করা হবে ‘জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৫’, যেখানে উদ্ভাবন, উৎপাদন, গুণগত উৎকর্ষ এবং বাজার সম্প্রসারণের ভিত্তিতে উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
মেলায় থাকছে বৈচিত্র্যময় স্টল ও সেবা
মেলায় উদ্যোক্তাদের জন্য থাকবে তিন শতাধিক স্টল। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে থাকবে— এসএমই ফাউন্ডেশনের সচিবালয়, মিডিয়া সেন্টার, রক্তদান কেন্দ্র,ক্রেতা–বিক্রেতা মিটিং বুথ,বিটাক, বিএসটিআই, বিসিক, বিসিএসআইআরসহ সরকারি সংস্থার স্টল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বুথ।
দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের প্রচার ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মেলার প্রতিটি স্টলেই থাকবে শতভাগ দেশীয় এসএমই পণ্য। বিদেশি বা আমদানিকৃত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ।
যে পণ্য-ক্যাটাগরিগুলো নজর কাড়বে
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, মেলায় প্রদর্শিত হবে এসএমই খাতের বিস্তৃত পণ্যসম্ভার— হস্তশিল্প, কারুশিল্প ও স্থানীয় ক্লাস্টারের তৈরি পণ্য, বুটিক, তাঁতবস্ত্র, জামদানী ও হাতে তৈরি পোশাক। গয়না, ফ্যাশন অ্যাকসেসরিজ ও লাইফস্টাইল পণ্য। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। ভেষজ ও অর্গানিক কসমেটিকস, হেলথ-কেয়ার পণ্য। কৃষিজ পণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যও, ফার্নিচার, সিরামিক ও গৃহস্থালি সামগ্রী। আইসিটি, ডিজিটাল সেবা ও অন্যান্য সৃজনশীল এসএমই প্রোডাক্ট।
মেলার অন্যতম আকর্ষণ ব্যাংকার–উদ্যোক্তা ম্যাচমেকিং সেশন, যেখানে উদ্যোক্তারা সহজ শর্তে ঋণ প্রাপ্তি ও আর্থিক সেবা বিষয়ে সরাসরি আলোচনা করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় এসএমই নীতিমালা, বাজার সম্প্রসারণ, ব্র্যান্ডিং, পণ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত পাওয়া যাবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণে সহায়তা দিতেই ২০১২ সাল থেকে এই মেলা আয়োজন করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এখন পর্যন্ত আয়োজিত ১১টি মেলায় উদ্যোক্তারা ৪৪ কোটি টাকার বেশি পণ্য বিক্রি করেছেন এবং পেয়েছেন প্রায় ৭৩ কোটি টাকার অর্ডার।
দেশীয় উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, বাজার সংযোগ তৈরি এবং দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ডভ্যালু গড়ে তুলতেই জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা এখন দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোক্তা-বান্ধব প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে।