অনলাইন প্রতিবেদক, ৩০ মে ২০১৩:
বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের এক বার্ষিক জরিপে দক্ষিণ কোরিয়া জনপ্রিয় দেশ হিসেবে দশম স্থান অধিকার করেছে। বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ এমন ১৬ টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর প্রতি বছর এই জরিপ চালানো হয়। এ বছর জরিপে অংশ নেন ২৫ টি দেশের ২৬ হাজারের কিছু বেশী মানুষ। তালিকাভুক্ত দেশগুলো পৃথিবীর উপর কতটুকু ইতিবাচক এবং কতটুকু নেতিবাচক প্রভাব রাখছে তা যাচাই করতে বলা হয়ে থাকে এই জরিপে।
এ বছর ৩৪ শতাংশ মানুষ দক্ষিণ কোরিয়ার ভূমিকাকে পৃথিবীর জন্য ইতিবাচক এবং ৩১ শতাংশ মানুষ নেতিবাচক বলে রায় দিয়েছেন। গত বছর এই হার ছিল যথাক্রমে ৩৫ ও ২৭ শতাংশ। তবে সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়া র্যাংকিংয়ে গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ এগিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার সাথে সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয়তা হ্রাসের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে জনপ্রিয় কোরিয়ান র্যাপার সাইয়ের দুনিয়া মাতানো “খাংনাম স্টাইল” নিঃসন্দেহে দেশটির ইতিবাচক মূল্যায়নে বড় ভূমিকা রেখেছে।
৫৯ শতাংশ ইতিবাচক ভোটের বিপরীতে মাত্র ১৫ শতাংশ নেতিবাচক ভোট পেয়ে জরিপে প্রথম স্থান অধিকারী জার্মানির জনগণ দক্ষিণ কোরিয়াকে সবচেয়ে বেশী নেতিবাচক ভোট দিয়েছে। ৬৫ শতাংশ জার্মান দক্ষিণ কোরিয়াকে পৃথিবীর জন্য ক্ষতিকর মনে করছে যেখানে মাত্র ১৭ শতাংশ কোরিয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
জার্মানরা সবক’টি এশিয়ান দেশকেই নেগেটিভ রেটিং করেছে। মাত্র ১৩ ও ২৮ শতাংশ জার্মান নাগরিক যথাক্রমে চীন ও জাপানকে বন্ধু বলে রায় দিয়েছে।
ফ্রান্স, মেক্সিকো, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের ৪০ শতাংশের বেশী ভোটদাতা দক্ষিণ কোরিয়াকে নেতিবাচক ভোট দিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়া সবচেয়ে বেশী ৫৮ শতাংশ ইতিবাচক ভোট পেয়েছে ইন্দোনেশিয়ানদের কাছ থেকে। এছাড়া ঘানা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও স্পেনের যথাক্রমে ৫৫, ৪৭, ৪৫, ৪৪ ও ৪৩ শতাংশ ভোটদাতা দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান ভূমিকাকে পৃথিবীর জন্য ইতিবাচক মনে করছে।
দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও জাপানের নাগরিকরা পরস্পরকে নেতিবাচকভাবেই বেশী দেখেছেন। মাত্র ১৯ শতাংশ জাপানী এবং ১৫ শতাংশ চীনা ভোটদাতা দক্ষিণ কোরিয়াকে পজিটিভ ভোট দিয়েছেন। জাপানকে পছন্দ করেছেন ২১ দক্ষিণ কোরিয়ান ও ১৭ শতাংশ চীনা নাগরিক। অন্যদিকে ২৩ শতাংশ দক্ষিণ কোরিয়ান এবং মাত্র ৫ শতাংশ জাপানী চীনের ব্যাপারে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন।
জার্মানির পর ২য় ও ৩য় স্থান দখল করেছে যথাক্রমে কানাডা (৫৫ : ১৩) ও যুক্তরাজ্য (৫৫ : ১৮)। গত বছরের
সবচেয়ে বেশী নেতিবাচক ভোট পেয়ে সবার নীচে রয়েছে ইরান (১৭তম)।