রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন গড়ে ৬০ লাখ মানুষ ফুটপাতের খাবার খায়। বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড (বিটিবি) জানিয়েছে, এদের মধ্যে বেশির ভাগই অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি পর্যটক।
তবে বিটিবি এইসব খাবারের স্বাস্থ্যমান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। এজন্য শিগগিরই ফুটপাতের খাবার ব্যবসায়ীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে বিটিবির বরাতে বাসস এক সংবাদ প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, দেশি খাবারকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষনীয় করতে ফুটপাতের খাবার বিক্রেতাদের খাবারের স্বাস্থ্যগত মান ঠিক রাখতে সরকার একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে রাজধানীর জাতীয় গণগ্রন্থগারের মিলনায়তনে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেখানে শাহাবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ১০০ খাবার বিক্রেতা দিনব্যাপি ওই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বিটিবি বলছে, দেশে আসা বিদেশি পর্যটকদের অনেকেই তুলনামূলক কম খরচে ফুটপাত থেকেই স্থানীয় খাবার গুলো খেয়ে থাকেন। খাবারের স্বাস্থ্যগত মান নিয়মিত তদারকি করতে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিও আহ্বান জানিয়েঠে বিটিবি।
উল্লেখ, রাজধানী ঢাকায় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক কার্যক্রমের আওতায় করা সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে ঢাকাতে ৮০০০ বা তারও বেশি ফুটপাতে খাবার বিক্রেতা রয়েছেন। যারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং খোলা জায়গায় খাবার বিক্রি করে।
‘ঢাকা শহরে নিরাপদ পথখাবার নিশ্চিতকরণে রাস্তার বিক্রেতাদের আচরণ পরিবর্তনে উদ্যোগ’ শীর্ষক গবেষণায় বিক্রেতাদের সচেতন করে খাবারে দূষণ কমিয়ে আনা সম্ভব বলে সুপারিশ করা হয়েছে।
গবেষণায় ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭ হাজার ৭৫৪ জন পথখাবার বিক্রেতার ওপর জরিপ করা হয়। তাদের বিক্রি করা খাবার পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা হয়।
এর আগে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকার ৫৫ শতাংশ পথখাবারে নানা ধরনের জীবাণু রয়েছে। এসব খাবার বিক্রেতাদের ৮৮ শতাংশের হাতে থাকে জীবাণু।

























