২১ সেপ্টেম্বর, সিউল:
উত্তর কোরিয়ার বন্দিশিবিরগুলোতে বন্দিরা অনাহার, নির্যাতনসহ আরো নানা অবর্ণনীয় বর্বরতা’র শিকার। দেশটির মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রথম এক প্রতিবেদনে গত মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক তদন্তকারীরা। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে প্রতিবেদনটি জমা দেন নিরপেক্ষ তদন্ত দলের প্রধান মাইকেল কিরবি। নির্বাসনে থাকা উত্তর কোরীয়রাসহ রাজবন্দিদের শিবিরের সাবেক বন্দিদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের কথা থেকে উত্তর কোরিয়ায় ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্রই উঠে এসেছে। বিবিসি।
কিরবি জানান, বিদেশি সোপ অপেরার ডিভিডি দেখার মতো নগণ্য কারণেও অনেককে নির্যাতন এবং বন্দিত্বের শিকার হতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাসিত উত্তর কোরীয়রা। মা’কে তার নিজ সন্তানকে ডুবিয়ে মারতে বাধ্য করতে দেখার মতো ভয়াবহ বর্বরতার কাহিনীও শুনিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার এক নারী। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অপরাধ মামলার জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে চাপ দেয় জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং পশ্চিমা শক্তিগুলো। এরপরই গত মঙ্গলবার প্রকাশ করা হল এ জাতিসংঘ প্রতিবেদন।
উত্তর কোরিয়া এ প্রতিবেদনকে ভুয়া এবং মানহানিকর বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। উত্তর কোরিয়ায় শাসনক্ষমতার পরিবর্তন ঘটাতে এ এক রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির কূটনীতিক কিম ইয়ং হো। সূত্রঃ ইনকিলাব




























