২১ সেপ্টেম্বর, সিউল:
দুই কোরিয়ার যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোর পুনর্মিলনের আয়োজন স্থগিত করেছে উত্তর কোরিয়া। এই সিদ্ধান্ত সম্প্রতি দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করবে।শনিবার উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়।
শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলনের জন্য উত্তরের যে সংস্থাটি কাজ করছিল তাদের পক্ষ থেকে কেসিএনএ সংবাদ সংস্থায় দেয়া এক বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলছে। তারা কিছুতেই সিউলের এই ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা যা দ্বন্দ্বকে আরো তীব্রতর করে তা মেনে নেবে না।
“তারা (দক্ষিণ কোরিয়া) যতক্ষণ পর্যন্ত না কথাবার্তা ও আলোচনার জন্য স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করছে ততক্ষণ পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবার ও স্বজনদের পুনর্মিলন আয়োজন স্থগিত থাকবে”।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। আগামী বুধবার থেকে উত্তর সীমান্তের মাউন্ট কুমগাং রিসোর্টে ছয় দিনের এই পুনর্মিলনীতে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পারিবারগুলো তাদের স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার কথা ছিল।
উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত চলা যুদ্ধের পর প্রায় ছয় দশক ধরে স্বজনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া পরিবারগুলোকে দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর নিজেদের ভাগ্য ছেড়ে দিতে হয়েছে। সর্বশেষ ২০১০ সালে তারা পুনর্মিলনের সুযোগ পেয়েছিলো।
দুই দেশের মধ্যে এমনিতেই শীতল সম্পর্ক। উত্তর কোরিয়া তাদের পরমাণু প্রকল্প বাতিল না করার জটিলতা আরো বেড়েছে। চলতি সপ্তাহেই দুই কোরিয়া তাদের বন্ধ থাকা কায়েসং শিল্পাঞ্চল পরীক্ষামূলকভাবে পুনরায় চালু করেছে। ওই শিল্পাঞ্চল চালুর আলাপ আলোচনার সময়ই পুনর্মিলনের বিষয়টিতে দুই প্রতিবেশী একমত হয়েছিলো। সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪.কম




























