সিউল, ১ ডিসেম্বর ২০১৩:
মুক্তবাণিজ্য অর্থনৈতিক জোট ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপে (টিপিপি) ঢোকার জন্য আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। জোটটিতে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ডজনখানেক দেশ রয়েছে। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বর্তমানে তারা এর বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করছে। খবর এপির।
টিপিপি জোটে ঢোকার বিষয়টি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষক ও মত্স্যজীবীরা বিরোধিতা করছেন। কেননা মুক্তবাণিজ্য চুক্তিটি সম্পন্ন হলে দেশটির এ খাত দুটি বেশ প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে। টিপিপির এ জোটের মধ্যে কৃষি খাতে উন্নত বেশ কয়েকটি দেশ রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো জাপান, কানাডা, মেক্সিকো ও ভিয়েতনাম। এদিকে চলতি বছরের শেষ দিকে টিপিপি আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্যিক বিভিন্ন বাধা দূর করার পাশাপাশি এ চুক্তির মধ্যে আরো বেশ কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। যার মধ্যে অন্যতম হলো পরিবেশ রক্ষা, শ্রমিক অধিকার ও বুদ্ধিভিত্তিক বিভিন্ন সম্পত্তি রক্ষার মানদণ্ড নির্ধারণ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবিষয়ক মুখপাত্র মাইকেল ফোরম্যান টিপিপিতে দক্ষিণ কোরিয়ার যোগদানের আগ্রহ প্রকাশ করাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতে বেশ ভালো প্রভাব পড়বে বলে জানান তিনি। তবে বিষয়টি এখনই সম্ভব নয় বলে মনে করেন তিনি। কেননা এখনো মূল ১২টি দেশের মধ্যেই সম্পূর্ণভাবে সমঝোতা হয়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী দশ বছরে দেশটির অর্থনীতি ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়বে। তবে এ চুক্তির ফলে দেশটির জিডিপি থেকে যে দশমিক ২ শতাংশ হারিয়ে যাবে, সে সম্পর্কে কোনো কিছু জানাননি তারা।
বাণিজ্যবিষয়ক বিশ্লেষকরা জানান, চুক্তিটি সম্পন্ন হলে দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিগুলো জাপানের দখল করা বাজারগুলোয় আরো সহজে ঢুকতে পারবে। আর এ চুক্তি না হলে দেশটির বেশ কয়েকটি বাজার জাপান দখল করে নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ভিয়েতনাম। পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষি খাতও এ চুক্তির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
অন্যদিকে এটি চীনের সঙ্গে আলোচনায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ চুক্তির লাভও সবার ওপর সমানভাবে বণ্টন হবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।