রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক বিজনেস ৩০ জানুয়ারী ২০১৪, ১২:০২ অপরাহ্ন
শেয়ার

চলতি হিসাব উদ্বৃত্তে নতুন রেকর্ড গড়ল দ. কোরিয়া


সিউল, ৩০ জানুয়ারি ২০১৪:

রফতানি বাড়ার সুবাদে গেল বছর চলতি হিসাব উদ্বৃত্তে নতুন রেকর্ড করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। ২০১৩ সালে দেশটির চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত আগের বছরের চেয়ে ৪৭ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭ হাজার ৭৩ কোটি ডলার, যা ২০১২ সালের অক্টোবরে করা প্রাথমিক পূর্বাভাসের প্রায় তিন গুণ। খবর সিনহুয়ার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক অব কোরিয়া’র (বিওকে) তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার চলতি হিসাবে উদ্বৃত্তে রফতানির ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। এ সময়ে ৫৭ হাজার ৯২ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে দেশটি, যা এক বছর আগের চেয়ে বেড়েছে ৩ শতাংশ। অন্যদিকে পণ্য আমদানি দশমিক ৮ শতাংশ কমে হয়েছে ৫১ হাজার ২১ কোটি ডলার। ফলে গত বছর দেশটির বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ছিল ৬ হাজার ৭১ কোটি ডলার।

imagesএদিকে পরিমাণের ভিত্তিতে গত বছর অর্থনীতির প্রায় অর্ধেক জুড়ে থাকা রফতানি খাতের সম্প্রসারণ হয়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। একই সময়ে আমদানি বেড়েছে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। বিওকের অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান বিভাগের মহাপরিচালক জুং ইয়ুং তায়েক জানান, গত বছর বৈশ্বিক বাজারে ভোগপণ্যের দাম কিছুটা কম ছিল। এ কারণেই আমদানি খরচ কমেছে।

তবে গত বছর সার্বিকভাবে দেশটির সামষ্টিক অর্থনীতি বেশ কঠিন সময় পার করে। কিন্তু রফতানির শক্তিশালী অবস্থানের কারণে খুব সহজেই কঠিন পরিস্থিতি পার করা সম্ভব হয়েছে। দেশটির চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত বর্তমানে জিডিপির ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, যা জার্মানি ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু তেল রফতানিকারক দেশের প্রায় সমান বলে জানান তিনি।

বিওকের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার সেবা খাতে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত বেড়ে হয়েছে ৬০০ কোটি ডলার; যা আগের বছর ছিল ২৭ কোটি ডলার। পণ্য ও সেবা উভয় খাতের ভালো অবস্থানে দেশটির উৎপাদন খাত আরো প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া ভ্রমণ খাতে ৭৩৩ কোটি ডলারের যে ঘাটতি দেখা দিয়েছিল, তা যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতের উদ্বৃত্ত দ্বারা পূরণ হয়েছে। পাশাপাশি গত বছর দেশটির প্রাথমিক আয় হিসাবে উদ্বৃত্ত ছিল ৪৮০ কোটি ডলার। এর মধ্যে রয়েছে লভ্যাংশ ও সুদ থেকে প্রাপ্ত অর্থ।

২০১৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার আর্থিক খাতেও ছিল বেশ ভালো অবস্থা। এ সময়ে কোরিয়া থেকে নেট ৭ হাজার ২৪১ কোটি ডলারের বৈদেশিক পুঁজি বিভিন্ন দেশে প্রবাহিত হয়। উল্লেখ্য, আর্থিক খাতে বৈদেশিক পুঁজির নেট আন্তঃপ্রবাহ ও বহিঃপ্রবাহ হিসাব করা হয়। সূত্রঃ বণিকবার্তা।