সিউল, ২৯ মার্চ ২০১৪:
আটলান্টিকের বুকে রূপকথার এক দ্বীপ আছে। অ্যান্টিলিয়া নামের সে দ্বীপরাজ্যের নামে এ বাড়ির নামকরণ। সাগরতলের কল্পরাজ্যের কিছু এ বাড়িতে না থাকতে পারে, কিন্তু ধরিত্রীর বুকে এ যুগের ব্যস্ত ধনকুবেরের দৈনন্দিন সব প্রয়োজনের জবাব দেবে অ্যান্টিলিয়া। আরাম-আয়েশের আয়োজনেরও কোনো রকম কমতি যে নেই, বলাই বাহুল্য।
২৭ তলা এ অট্টালিকার আয়তন ৪ লাখ বর্গফুট। ছয়টি ভূগর্ভস্থ পার্কিং লেভেলসহ অ্যান্টিলিয়ার আছে একটি ফিটনেস লেভেল, তিনটি হেলিপ্যাড, একটি করে স্পা, যোগ আশ্রম, মুভি থিয়েটার, সুইমিংপুল, ঝুলন্ত উদ্যান, নয়টি দ্রুতগতির এলিভেটর, ঝড়ের বেগে তুষার উত্পাদনে সক্ষম একটি আইস রুমসহ বিত্ত আর বৈভবের অগণন নিশান। ইনহ্যাবিট্যাট ম্যাগাজিনের সম্পাদকমণ্ডলীর বিচারে ‘সবচেয়ে সবুজ’ বাড়ির তকমা পাওয়া অ্যান্টিলিয়ার নির্মাণ ও কাঠামোশৈলী যে যথাসাধ্য পরিবেশবান্ধব, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরই মধ্যে অ্যান্টিলিয়ার নির্মাণ ব্যয় ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম এ বাসভবনে ‘হাস্যকর অনেক সুবিধা’ রয়েছে বলে ইনহ্যাবিট্যাট মন্তব্য করেছে। ফোর্বস ম্যাগাজিন অ্যান্টিলিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বাড়ি নির্বাচিত করেছে। নামজাদা এ সাময়িকী সম্প্রতি বিশ্বের ২০টি ব্যয় ও বিলাসবহুল বাড়ির যে তালিকা করেছে, তার শীর্ষে রয়েছে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আমবানির এ প্রাসাদোপম অট্টালিকা। ২০১১ সালে নির্মাণকাজ শেষ হলেও আমবানিরা এ বাড়িতে উঠেছেন মাত্র কয়েক মাস আগে। প্রাচীন ভারতীয় বাস্তু শাস্ত্র অনুসৃত হয়নি বলে তারা সাধের এ বাড়িতে উঠতে দ্বিধান্বিত ছিলেন বলে কথিত আছে। ভারতের মুম্বাইয়ে অবস্থিত অ্যান্টিলিয়ার এত বিরাট যজ্ঞ চালাতে রয়েছে ৬০০ জনের এক কর্মী বাহিনী। খবর ফোর্বসের। সূত্রঃ বণিকবার্তা।




























