সিউল, ২৯ এপ্রিল ২০১৪:
দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেরি ডুবির ঘটনা দেশের অর্থনীতিতে বিমর্ষতার ছাপ রেখেছে। কোরিয়ান ভোক্তারা কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছেন। বাজারে নতুন পণ্যও তেমন আসছে না। ক্রেডিট কার্ডের দৈনন্দিন ব্যবহারও কমে এসেছে। এসব বিষয় দীর্ঘমেয়াদে কোরীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।
প্রথম সারির ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিগুলোর তথ্য নিয়ে কোরিয়া হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফেরি ডুবির ঘটনার পর দৈনন্দিন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের হার কমেছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
কোরিয়া ইউনিভার্সিটির ওহ জাং-কেউয়ান বলেন, এ অবস্থা দীর্ঘমেয়াদে চললে তা পুরো অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে। তিনি আরো বলেন, ফেরি সিউল দুর্ঘটনার পর ভোক্তা ব্যয়ের প্রবৃদ্ধি আরেক দফা কমেছে। এ কারণে ব্যাংক অব কোরিয়ার (বিওকে) পূর্বাভাসের চেয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কম থাকবে।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, মার্চ পর্যন্ত বছরের প্রথম তিন মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতি টানা দুই মাসের মতো দশমিক ৯ শতাংশ প্রসারিত হয়েছে। রফতানি মসৃণ গতিতে চললেও ভোক্তা ব্যয় স্থবির হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, ৪৭৬ জন যাত্রী নিয়ে ১৬ এপ্রিল ‘সিউল’ নামের ফেরিটি ইনছন থেকে পূর্বাঞ্চলীয় পর্যটক দ্বীপ জেজুতে যাওয়ার সময় ডুবে যায়। ফেরির যাত্রীদের ৩২৫ জনই স্কুল শিক্ষার্থী। এ পর্যন্ত ১৮৩টি লাশ উদ্ধার করা হলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে এতে ৩০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে গত রোববার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জং হুং উওন। সূত্রঃ বণিকবার্তা।


























