মঙ্গলবার । ডিসেম্বর ৯, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক জাতীয় ১৫ জুলাই ২০২৫, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের উপ-সভাপতির বৈঠক


অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক করেছেন দক্ষিণ এশিয়ার জন্য নবনিযুক্ত বিশ্বব্যাংক উপ-সভাপতি জোহানেস জুট। রোববার (১৪ জুলাই) দিবাগত রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জুট। এ সময় তার সাথে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য নবনিযুক্ত বিভাগীয় পরিচালক জ্যঁ পেসমে।

বৈঠকে জোহানেস জুট বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির প্রতি জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং অর্থনৈতিক খাতে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কর্মসূচির জন্য প্রধান উপদেষ্টা প্রশংসা করেন।

আলোচনাকালে জুট বাংলাদেশের প্রতি তার গভীর ভালবাসা প্রকাশ করেন এবং ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে তার আগের কর্মকালীন সময় স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এগোলে পুরো দক্ষিণ এশিয়া এগোবে। আলাদা থাকলে আমাদের অগ্রগতি হবে না। আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং পরিবহন ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে। আমাদের একটি মহাসাগর রয়েছে – এটি আমাদের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেশিরভাগ দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর অভাব আছে। আমরা তাদের বলেছি, আপনাদের শিল্পকারখানা এখানে নিয়ে আসুন। আমরা প্রয়োজনীয় সবকিছু দেব, যাতে বাংলাদেশ উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে।’

নারী ক্ষমতায়নে অধ্যাপক ইউনূসের ভূমিকার প্রশংসা করে বিশ্বব্যাংকের উপ-সভাপতি বলেন, ‘আমরা আপনাদের পাশে থাকব। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বাংলাদেশে মেয়েদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি কর্মসূচি চালু হয়েছিল, যা এখন অন্য দেশেও অনুসরণ করা হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা করতে প্রস্তুত।’

জুট উল্লেখ করেন, গত অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশে ৩ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থায়ন করেছে এবং আগামী তিন বছরেও একই ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, নতুন পরিচালন ব্যবস্থার অধীনে নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা এটিকে আরও কার্যকর করা। ২০২৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে আমরা নিট বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগে (এফডিআই) একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখেছি, যার পেছনে মূলত ইন্ট্রা-কম্পানি ঋণ এবং শক্তিশালী ইকুইটি বিনিয়োগ দায়ী।

নিউজ পাওয়া যায়নি