
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার অনেক উচ্চাভিলাষী ও বৃহৎ সংস্কার করে ফেলেছে। তাঁর মতে, নতুন নির্বাচিত সরকারের জন্য এসব সংস্কার পুরোপুরি গ্রহণ করা বা হজম করা কঠিন হতে পারে, তবে বেশির ভাগ সংস্কারই তারা বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করছেন।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে স্বাধীন করার মতো বড় ধরনের কয়েকটি অধ্যাদেশ অন্তর্বর্তী সরকার রেখে যাচ্ছে। বিচার বিভাগকে পুরোপুরি স্বাধীন করার মানে আইন মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা কমে যাওয়া- এটি নতুন সরকারের কাছে অস্বস্তিকর মনে হতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিবিএস সংস্কার, ক্রয় নীতিমালা সংশোধন, বিভিন্ন খাতে সংস্কার কমিটি গঠনসহ একাধিক অধ্যাদেশের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, পরবর্তী জাতীয় সংসদ এগুলো পর্যালোচনা করে আইন করবে- এটাই প্রত্যাশা।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা জানান, প্রকল্প পরিচালকদের সংকট এখনো রয়ে গেছে। অনেক কর্মকর্তা প্রকল্প পরিচালক হতে চাইছেন না, আর ঠিকাদারদের মধ্যে উৎসাহও কমে গেছে। তিনি মন্তব্য করেন, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি পুরোপুরি কমেনি- এমন অভিযোগ এখনও শোনা যায়।
আজকের একনেক সভায় মোট ১৭টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। মোট ব্যয় ১৫ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে- সরকারি অর্থায়ন: ৯,৪৫১ কোটি টাকা, প্রকল্প ঋণ: ৫,৬১০ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার অর্থায়ন: ৩৭৯ কোটি টাকা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে নতুন প্রকল্প ১৩টি এবং সংশোধিত প্রকল্প ৫টি।























