
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর এলাকায় অবস্থিত শাহআলম কেমিক্যাল গোডাউন এবং পাশের একটি পোশাক প্রিন্টিং কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন। এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ, দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব লস্কর তাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে একটি বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন দাখিল করবে। দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ, আহত ও নিহতদের তালিকা প্রণয়ন, পরিদর্শন প্রক্রিয়ায় কোনো গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা, কারখানার ঝুঁকি নিরূপণ, ঝুঁকি নিরসনের সুপারিশ এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে তদন্ত কমিটি।
এ ছাড়া নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে ২ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে এবং আহত শ্রমিকদের চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।
এদিকে, প্রতিষ্ঠান দুটির মালিকদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, গার্মেন্ট কারখানাটির নাম ‘আনোয়ার ফ্যাশন’। এখানে যেসব পোশাক তৈরি হয় সেগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়। প্রতিষ্ঠানটি বিজিএমইএ’র তালিকাভুক্ত নয়।
মূলত কারখানাটির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় পোশাক তৈরি হতো উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে সেফটি-সিকিউরিটি কিছুই ছিল না। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে এর মালিক আনোয়ারকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পাশের রাসায়নিক গুদামটির নাম আলম এন্টারপ্রাইজ এবং এর মালিক আলমেরও খোঁজ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, দুটি প্রতিষ্ঠানের কোনোটিরই লাইসেন্স ছিল কি না তাও নিশ্চিত করা যায়নি।


















