সোমবার । ডিসেম্বর ৮, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজধানী ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৮:২৪ অপরাহ্ন
শেয়ার

ছাত্রদল নেতা হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন মাহিরকে পুলিশে দিলেন মা


Jubaid-killing

জোবায়েদ হোসেনকে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতা মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন তাঁর মা রেখা আক্তার। সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তিনি নিজে বংশাল থানায় গিয়ে ছেলেকে সোপর্দ করেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

মাহিরের খালু ইমরান শেখ জানান, “রাত তিনটার দিকে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর মাহিরের মা সকালে তাকে থানায় দিয়ে আসেন। পরে আমাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”

তবে মাহিরকে মা থানায় সোপর্দ করেছেন- এই তথ্য সরাসরি নিশ্চিত করেনি পুলিশ। তবে পুলিশের লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. আমিনুল কবীর তরফদার বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডে মাহিরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছি, শিগগিরই তা জানানো হবে।”

রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে জোবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। জোবায়েদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়র ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

পুলিশ জানায়, ভবনের একটি বাসায় উচ্চমাধ্যমিকের এক ছাত্রীকে পড়াতেন জোবায়েদ। তাঁর লাশ উদ্ধারের পর ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে পুলিশের একাধিক দল মাহিরের আত্মীয়দের বাড়িতে অভিযান চালায়। রাতের ওই অভিযানের পর মাহিরের মা থানায় তাকে সোপর্দ করার সিদ্ধান্ত নেন।

Mahir

মাহির, বর্ষা ও নিহত শিক্ষার্থী জুবায়েদ। ছবি- সংগৃহীত

লালবাগ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, প্রেমঘটিত বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জোবায়েদকে হত্যার সময় ঘটনাস্থলে তিনজন ছিল, আর ছুরিকাঘাত করে মাহির।

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের ১৮ ঘণ্টা পার হলেও মামলা হয়নি। জোবায়েদের পরিবার জানায়, তারা ছয়জনের নামে মামলা দিতে চেয়েছিল, তবে থানার ওসি এতজনের নামে মামলা না দেওয়ার পরামর্শ দেন।

জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, “আমরা ছাত্রীসহ ছয়জনের নামে মামলা দিতে চেয়েছি। কিন্তু পুলিশ বলেছে, এতজনের নামে মামলা দিলে মামলা হালকা হয়ে যাবে।”

অতিরিক্ত উপকমিশনার আমিনুল কবীর বলেন, “পরিবার এখন দাফনের কাজে ব্যস্ত। দাফন শেষে রাতেই মামলা হবে।”