চীনে দক্ষিণাঞ্চলীয় ইউলিন শহরে ‘কুকুরের মাংস খাবার বার্ষিক উৎসবের’ আগে প্রাণী অধিকার কর্মীরা এর বিরুদ্ধে এক আন্দোলন শুরু করেছেন। কুকুর খাবার বিরুদ্ধে এর মধ্যেই ১ কোটি ১০ লাখ স্বাক্ষর সংগৃহীত হয়েছে বলে তাদের দাবি।
এমাসের শেষের দিকে ২১শে জুন থেকে এই কুকুরের মাংস খাবার উৎসব শুরু হচ্ছে।
এ উপলক্ষে হাজার হাজার কুকুর জবাই করা হবে।
Image copyrightREUTERSমার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়ায় প্রতি বছর মাংসের জন্য ৩ কোটি কুকুর হত্যা করা হয়। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি মারা হয় চীনে।
সমালোচকরা বলেন, এই উৎসবে যেসব কুকুর জবাই হয় তার বেশির ভাগই চুরি হওয়া কুকুর, বা পথের বেওয়ারিশ কুকুর। এদেরকে খাঁচায় ভরে প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রির জন্য আনা হয়।
এর বিরুদ্ধে ২৪ জন বিক্ষোভকারী তাদের কুকুর সহ বেজিং-এ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
Image copyrightREUTERSএকজনের হাতে ছিল ব্যানার – তাতে কুকুরের ছবির পাশে লেখা ছিল ‘আমি তোমার নৈশভোজের খাবার নই’।
এই বিক্ষোভকারীরা প্রাণীর প্রতি সদয় আচরণের দাবি জানান।
কিন্তু এই উৎসবের সমর্থকরা বলছেন, কুকুরের মাংস মানুষের জন্য উপকারী এবং এতে ‘গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা থাকে’।
Image copyrightAP“তা ছাড়া কুকুরের মাংস খাওয়া অন্য যেকোনো প্রাণীর মাংস খাওয়ার চাইতে আলাদা কিছু নয়” – এটাও তাদের যুক্তি।
চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়া সহ আরো কিছু দেশে চার-পাঁচশো বছর ধরে কুকুরের মাংস খাওয়ার ঐতিহ্য সৃষ্টি হয়েছে।
তবে ২০১৪ সালে ইউলিন শহরের কর্তৃপক্ষ এ উৎসবের সাথে তাদের সম্পর্কের ব্যাপারটি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে। তাদের যুক্তি, এর আয়োজক মূলত বেসরকারি ব্যবসায়ীরা।বিবিসি




























