
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে ১১তম গ্রেডে আনার দাবি বাস্তবায়িত হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকরা বহুদিন ধরে ১১তম গ্রেডের দাবি করছেন। আমরাও সেই দাবির সঙ্গে একমত। নানাভাবে যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি- এই দাবি বাস্তবায়িত হবে।’
রবিবার (৩০ নভেম্বর) ভোলার মনপুরা উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা জানান, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গঠিত বেতন কমিশনেও শিক্ষকদের দাবি তুলে ধরা হয়েছে এবং সে বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ‘শিক্ষকদের দাবিকে আমরা নিজেদের দাবি হিসেবে গ্রহণ করেছি। তাদের পক্ষে কাজ করছি। এই দাবি বাস্তবায়ন হবেই,’ বলেন তিনি।
শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘বার্ষিক পরীক্ষা সামনে। ছাত্রদের স্বার্থে এই সময়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। ১১টি শিক্ষক সংগঠন ইতোমধ্যে আন্দোলন স্থগিত করেছে। বাকি যেসব সংগঠন এখনো ঘোষণা দেয়নি, তাদের প্রতিও আহ্বান—পরীক্ষা বিঘ্নিত করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, যেহেতু দাবি যৌক্তিক মনে করে সরকার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে—তাই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার প্রয়োজন নেই।
অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানান, দুর্গম অঞ্চলে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ভাতা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘কিছু এলাকায় ইতোমধ্যে চালু রয়েছে, যেখানে নেই সেখানেও চালুর চেষ্টা চলছে,’ বলেন তিনি।
পরিদর্শনকালে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আতিকুর রহমান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক মিরাজুল ইসলাম উকিল, ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



























