বাংলাদেশে রাজনীতি ও অর্থনীতিতে সত্যিকারের সংস্কার আনতে হলে শুধু সংস্কার করলেই হবে না, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও আমূল পরিবর্তন আনতে হবে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ সোমবার রাজধানীর পল্টনের ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘ক্যাপিটাল মার্কেট পুনর্গঠন ও বাস্তবতা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক নিয়োগ আর তেল মারার সংস্কৃতি থেকে বের না হলে কোনো সংস্কারই কার্যকর হবে না।”
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইআরএফ ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
কর্মশালায় কয়েকজন বক্তা আমীর খসরুকে ভবিষ্যতের অর্থমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য না করলেও, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে বলেন, “এটা আমাদের রাজনীতির সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলীয় আনুগত্য দেখাতে গিয়ে তেল দেওয়াটাই যেন এখন যোগ্যতা হয়ে গেছে। কিন্তু এই ধারা পরিবর্তন না হলে দেশের উন্নয়ন থেমে থাকবে।”
তিনি দাবি করেন, বিএনপির সরকারে থাকার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি সহ কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থায় রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়নি, ফলে সে সময় শেয়ারবাজার ও ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের সংকট দেখা যায়নি।
আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করতে সরকার নীতি নির্ধারণী ও কাঠামোগত পদক্ষেপ নেবে বলে জানান আমীর খসরু। “শুধু সরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান বাজারে আনা কিংবা আংশিক উদ্যোগে এই খাতের গভীর সংকট কেটে যাবে না। এর জন্য চাই একটি সমন্বিত, দীর্ঘমেয়াদি ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত সংস্কার পরিকল্পনা,”— বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিএসই চেয়ারম্যান মো. মমিনুল ইসলাম, সিএসই চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান, ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ প্রেসিডেন্ট দৌলত আকতার মালা।





















