মঙ্গলবার । ডিসেম্বর ৯, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক বিজনেস ১৪ জুলাই ২০২৫, ৮:১৪ অপরাহ্ন
শেয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক ইস্যুতে আরেক দফা আলোচনা করতে চায় সরকার


সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত পাল্টা শুল্কের হার কমানো নিয়ে আরও এক দফা আলোচনা করতে চায় বাংলাদেশ সরকার। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে নতুন করে সময় চাওয়া হয়েছে, এবং আলোচনার প্রস্তুতিও নিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আজ সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে এসব তথ্য জানান প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্যবিষয়ক উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বৈঠকে অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বৈঠক শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তৃতীয় দফা আলোচনা হবে। এর প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। আশা করি যৌক্তিক আলোচনা ও সক্ষমতা দিয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশাধিকার ধরে রাখতে পারব।’

শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ৯ থেকে ১১ জুলাই ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা করে দেশে ফিরে আসে গতকাল রোববার। সেই সফরের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

তবে অনেক বিষয়ে তিনি বিস্তারিত বলেননি। কারণ হিসেবে জানান, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট (গোপনীয়তা চুক্তি) রয়েছে। সেই কারণে সব তথ্য জানানো যাচ্ছে না।’

ব্রিফিংয়ের শুরুতে বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি আমাদের জন্য বড় ধরনের অভিঘাত হতে পারে। সে গুরুত্ব বুঝেই সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে, কিছু চলমান আছে। আজকের বৈঠক তারই অংশ। আমরা অংশীজনদের মতামত নিয়েছি।’

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ, অ্যাপেক্স ফুটওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ, র‍্যাপিডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য মোস্তফা আবিদ খান, এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গত ৮ জুলাই, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ৯ জুলাই থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল।

নিউজ পাওয়া যায়নি