
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধের মাঝেও বার্ষিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পথে রয়েছে বেইজিং। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৫ শতাংশের বেশি হারে চীনের চীনের বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান জানিয়েছে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) ১.১ শতাংশ হারে বেড়েছে। বার্ষিক ভিত্তিতে, প্রথমার্ধে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৫.৩ শতাংশ, যা সরকারের নির্ধারিত ৫ শতাংশ লক্ষ্য অর্জনের দিকে ইঙ্গিত দেয়।
চীনের পরিসংখ্যান ব্যুরো এক বিবৃতিতে বলেছে,“প্রথমার্ধে আরও কার্যকর ও প্রো-অ্যাকটিভ ম্যাক্রো নীতিগুলো কার্যকর হওয়ায় জাতীয় অর্থনীতি স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে এবং শক্তিশালী স্থিতিস্থাপকতা ও প্রাণশক্তি প্রদর্শন করেছে।”ন
ইএনজির চীনের প্রধান অর্থনীতিবিদ লিন সং বলেন, বছরের শুরুতে নেতিবাচক প্রত্যাশার বিপরীতে চীনের পারফরম্যান্স “নিশ্চিতভাবেই উৎসাহব্যঞ্জক”।
তিনি জানান,“প্রথম প্রান্তিকে আগাম রপ্তানির প্রভাব পড়লেও সামগ্রিকভাবে বাণিজ্য প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ছিল। এর ফলে শিল্প উৎপাদন ভালো করেছে।”
তবে সং সতর্ক করে জানান “বছরের দ্বিতীয়ার্ধ আরও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। আগস্টে গুরুত্বপূর্ণ সময়সীমা সামনে থাকায় শুল্ক অনিশ্চয়তা এখনো মাথার ওপর ঝুলে আছে। যদিও আমরা এপ্রিলের সর্বোচ্চ শুল্কে ফিরে যাওয়ার আশঙ্কা করি না, তবে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না।”
ট্রাম্পের উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ সত্ত্বেও, জুন মাসে চীনের রপ্তানি বার্ষিক ভিত্তিতে ৫.৮ শতাংশ বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্যান্য বাজারে চাহিদা ও সবচেয়ে বেশি শুল্ক থেকে সাময়িক বিরতি এই প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ছিল।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মে মাসে হওয়া একটি চুক্তির আওতায়, উভয় দেশ কমপক্ষে ৯০ দিনের জন্য পরস্পরের রপ্তানির ওপর শুল্ক হ্রাসে সম্মত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, চীনের পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করছে, এবং চীনে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক নেওয়া হচ্ছে।
তবে এই চুক্তির মেয়াদ আগামী ১২ আগস্ট শেষ হবে। এই সময়ের মধ্যে উভয় পক্ষকে নতুন করে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে, না হলে পূর্বের উচ্চ হারে শুল্ক পুনরায় কার্যকর হতে পারে।





















