মঙ্গলবার । ডিসেম্বর ৯, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক জাতীয় ৫ নভেম্বর ২০২৫, ৮:১৩ অপরাহ্ন
শেয়ার

উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটিকেই দায়ী করল তদন্ত কমিটি


Chief-Adviser

তদন্ত কমিটির প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামরুল হাসান প্রধান উপদেষ্টার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।

পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটির কারণেই গত ২১ জুলাই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওপর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। প্রশিক্ষণ উড্ডয়নের সময় পরিস্থিতি পাইলটের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বুধবার সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল এস এম কামরুল হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দুর্ঘটনা তদন্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

দুর্ঘটনায় পাইলটসহ অন্তত ৩৫ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন। ঘটনার পর ২৭ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। প্রায় তিন মাসের তদন্ত শেষে কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

প্রেস সচিব জানান, তদন্তের অংশ হিসেবে ১৫০ জনের বক্তব্য নেওয়া হয়। এর মধ্যে বিশেষজ্ঞ ও ভুক্তভোগী উভয়ই ছিলেন। তদন্তে ১৬৮টি বিষয় উদঘাটন করা হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে ৩৩টি সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রধান সুপারিশ হিসেবে জানানো হয়, জননিরাপত্তার স্বার্থে বিমান বাহিনীর সব প্রাথমিক প্রশিক্ষণ এখন থেকে ঢাকার বাইরে পরিচালিত হবে।

শফিকুল আলম বলেন, “দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল পাইলটের উড্ডয়নে ত্রুটি। প্রশিক্ষণের সময় পরিস্থিতি তার আয়ত্তের বাইরে চলে যায়- এটাই কমিটির সিদ্ধান্ত।”

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিধ্বস্ত ভবনটি রাজউকের অনুমোদিত বিল্ডিং কোড অনুযায়ী নির্মিত নয়। ন্যূনতম তিনটি সিঁড়ি থাকার কথা থাকলেও মাইলস্টোনের ওই ভবনে একটি সিঁড়ি ছিল, যা হতাহতের সংখ্যা বাড়িয়েছে।

এছাড়া বরিশাল ও বগুড়ায় রানওয়ে সম্প্রসারণ, বিমানবন্দরের আশপাশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা নিয়ন্ত্রণ, ‘ফোম টেন্ডার’ নিশ্চিতকরণসহ নিরাপত্তা জোরদারের নানা সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, দেশে বিদ্যমান বিমানবন্দরগুলোর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

নিউজ পাওয়া যায়নি