সোমবার । ডিসেম্বর ৮, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক খেলা ২৫ অগাস্ট ২০১৪, ৫:৪৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোর লড়াই বাংলাদেশের


প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে মাত্র ৩৪ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষ দলের ৫ উইকেট তুলে নিয়েও ২১৭ রানের পুঁজি কাজে লাগাতে পারেনি মুশফিকুর রহিমের দল। দ্বিতীয় ম্যাচের লজ্জা আরো বড়। গ্রেনাডায় ওই ম্যাচে মাত্র ৭০ রান তুলতেই দম ফুরিয়ে যায় বাংলাদেশের। বলা বাহুল্য, এ ভেন্যুতে ওয়ানডে ক্রিকেটে এটা সর্বনিম্ন রানের লজ্জা। এ হারের পর ভীষণ হতাশ অধিনায়ক মুশফিক। দলের ব্যাটসম্যানদের কমিটমেন্ট ও দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এমনই অবস্থায় আজ সেন্ট কিটসে  তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে  তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে  স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হচ্ছে মুশফিকরা। হোয়াইট ওয়াশের লজ্জা এড়ানোর এটাই শেষ সুযোগ বাংলাদেশের।

다운로드 (28) দলের সাম্প্রতিক ব্যর্থতাকে যতটা না সামর্থ্যের, তা চেয়েও বেশি মানসিক বলে মনে করছেন মুশফিক।  ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিয়ে খেললে পরিস্থিতি পাল্টে যাবে, এমনটাই বিশ্বাস বাংলাদেশ অধিনায়কের। তার ভাষায়, খুবই হতাশাজনক পারফরম্যান্স। ব্যটাসম্যানদের কেউ লড়াই করার চেষ্টাই করেনি, এটাই সবচেয়ে  হতাশাজনক। ব্যাটসম্যানরা  দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করলে তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব বলেই মনে করছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমাদের হাতে আর একটি ম্যাচ আছে। সবাই যদি নিজেদের সেরাটা দেয়, তবে একটা ভালো কিছু করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।’ প্রথম ম্যাচে সুযোগ থাকার পরও ম্যাচ জেতাতে পারেননি বোলাররা। তার পরও বোলারদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট মুশফিক। জানান, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের বোলারদের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক। মাশরাফি, আল আমিন, মাহমুদউল্লাহ, রাজ্জাক সবাই শুরু থেকেই ভালো বোলিং করেছে।’

হোয়াইট ওয়াশ এড়ানোর মিশনের আগে মুশফিকদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কিন্তু মোটেও ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে না। এ বছর ১০টি ওয়ানডের সব কটিতেই হেরেছে দল। সর্বশেষ ২৫  (তিন ফরম্যাট মিলিয়ে) ম্যাচের মধ্যে ক্রিকেটের কোনো প্রতিষ্ঠিত দলকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে ঘরের মাঠে এশিয়া কাপে টেস্ট স্ট্যাটাসের বাইরের দল আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে দল। টি২০ বিশ্বাকপে নাম-পরিচয়হীন হংকংয়ের কাছেও হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন মুশফিকরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি সিরিজে দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের একটা প্রতিফলন বলে মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। দল নির্বাচন নিয়েও অতিরিক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রমাণ দিচ্ছে দলের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাকেই। দলটিতে আছে চারজন স্পেশালিস্ট ওপেনার। এ চার ওপেনারকেই খেলানো হচ্ছে একই সঙ্গে। এসব সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে ওঠার সুযোগ ছিল প্রথম ম্যাচেই। ইনিংসের প্রথম থেকে শেষ বল পর্যন্ত উইকেটে থেকে ১০৯ রান করে দলকে সে সুযোগ এনে দিয়েছিলেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। কিন্তু বোলরদের ব্যর্থতায় সে সুযোগ কাজে আসেনি। উল্টো হারা ম্যাচ জিতে ভীষণভাবে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে ক্যারিবীয় শিবির। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে নিয়ে ইচ্ছাপূরণের খেলায় মেতে ওঠাটা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে সেটাই। স্বাগতিকদের জন্য আরেকটা সুসংবাদ যে, তাদের বিধ্বংসী ওপেনার ক্রিস গেইলের ফর্মে ফেরা। দ্বিতীয় খেলায় ম্যাচ সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেচেন গেইল। গ্রেনাডায় মন্থর উইকেটে রান তুলতে যথেষ্টই ঘাম ঝরাতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। তবে গেইল ছিলেন ব্যতিক্রম। তার ৫৮ রান আসে মাত্র ৬৭ বলের ইনিংসে। তাতে বাউন্ডারির  সংখ্যা তিনটি হলেও ছক্কার মার ছিল পাঁচটি।

সেন্ট কিটসের উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হবে, এটাই আশাবাদী করে তুলেছে মুশফিককে। বলেছেন, ‘সেন্ট কিটসে আমরা আগেও খেলেছি। এখানকার উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই আদর্শ। মাঠও তুলনামূলকভাবে ছোট। আশা করছি, আমাদের ব্যাটসম্যানরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবে।’